ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে দাড়ি কাটবেন না বলে জানিয়েছিলেন সালমান খান। এ নিয়েই স্ত্রী নাজমার সঙ্গে চলছিল বাগবিতণ্ডা। শেষ পর্যন্ত অবাধ্য স্বামীর মুখ গরম পানি দিয়ে ঝলসে দিলেন স্ত্রী। স্থানীয় সময় গত বুধবার ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আলিগড় শহরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সালমান-নাজমা দম্পতির মধ্যে দাড়ি কাটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঝগড়া চলছিল। দাড়ি কাটতে একদমই রাজি হচ্ছিলেন না সালমান। এতে নাজমা রেগে গিয়ে সালমানের গায়ে গরম পানি ছুড়ে দেন। ফলে গুরুতরভাবে পুড়ে যায় তাঁর শরীর ও মুখ।
ছয় মাস আগে বিয়ে করেন সালমান-নাজমা। তখন থেকেই পোশাক নিয়ে সালমানের সঙ্গে নাজমার ঝগড়া হতো। কুর্তা-পাজামা ছেড়ে প্যান্ট-শার্ট পরার জন্য নাজমা জোরাজুরি করলেও, সালমান কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিলেন না।
এ বিষয়ে সালমান জানান, তিনি একজন ধার্মিক মানুষ। তাঁর ‘মুক্তমনা’ স্ত্রী কোনোভাবেই তাঁর জীবনপদ্ধতি মেনে নিতে পারেননি।
ফলবিক্রেতা সালমান আরো জানান, সেদিন কাজ শেষে বাসায় ফেরেন তিনি। সে সময় নাজমা ডিম সিদ্ধ করছিলেন। ডিম সিদ্ধ করার সেই গরম পানিই সালমানের দিকে ছুড়ে দেন সালমা। এরপর চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয়রা তাঁকে নিয়ে গিয়ে জেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আলীগড়ের পুলিশপ্রধান আশুতোষ ত্রিবেদী জানান, সালামান তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
হাসপাতাল কর্মকর্তা হারিস মনজুর বলেন, ‘সালমানের মুখমণ্ডল ও বাহু ২০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। তবে এখন সে শঙ্কামুক্ত, দু-একদিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’