ব্যাংক জালিয়াতি সবদেশেই কমবেশি হয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ব্যাংক জালিয়াতি সবদেশেই কমবেশি হয়। আমাদের এখানেও হয়। এটা আমরা কমাতে চেষ্টা করছি।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সব ব্যাংকেই যে দুর্নীতি বা জালিয়াতি হচ্ছে তা ঠিক নয়। দুই একটা বেসরকারি ব্যাংকে অনিয়ম হচ্ছে। এই অনিয়ম কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকও কাজ করছে।
এর আগে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাদের এক লাখ টাকার উপরে আছে তাদের উপর এই কর বসছে। আমি মনে করি এটা যৌক্তিক। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাদের লাখ টাকার উপরে আছে তারা এই কর দিতে সক্ষম। কারণ, ব্যাংকে যাদের লাখ টাকা আছে তারা সম্পদশালী।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী এখন থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ লাখ টাকার উর্ধ্বে হতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা আবগারি শুল্ক কাটা হবে। ১০ লাখ টাকার উর্ধ্বে হতে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ৫০০ টাকা শুল্ক ধরা হবে। ১ কোটি টাকার উর্ধ্ব হতে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১২ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার উর্ধ্বে বিদ্যমান ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক ধার্য করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী মোস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, প্রমুখ।
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিট কমেনি। এখনও অতিরিক্ত আছে। আমাদের অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও এখনও ৭০ দশমিক ৪৩ শতাংশ আছে।