মিসাইলে আরো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে উত্তর কোরিয়া। সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া যে মিসাইলের পরীক্ষা করেছে তাতে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিকে কোট করে এমনটাই জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদমাধ্যম।
ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং-উনের উপস্থিতিতে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য পুকগুকসং-২ নামের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সমালোচনাকে উপেক্ষা করেই গত কয়েকদিনে একাধিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। যার মধ্যে সর্বশেষ পরীক্ষা করা মিসাইলটি সবথেকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এবং শক্তিশালী বলে দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, কিম জং যুদ্ধে ব্যবহারের লক্ষ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছেন। পরীক্ষা করা সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরে পড়ে। তার সামান্য দূরেই জাপানের ‘এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন’ অবস্থিত। অন্যদিকে, গত ১৪ মে পরীক্ষা করা মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার সাফ জবাব, আমেরিকার ‘বড় ভাইগিরি’ বন্ধ না হলে এহেন মিসাইল পরীক্ষা চলবেই।