৮০’র দশকের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল রোবোকপ এবার সত্যি সত্যিই দেখা যাবে। তবে পার্থক্য হলো, রোবোকপে যে চরিত্রটি দেখানো হয়েছিল, সেটা ছিল সাইবর্গ বা অর্ধেক মানুষ এবং অর্ধেক যন্ত্র। কিন্তু দুবাইতে সম্প্রতি যে রোবোকপ ডিউটি শুরু করেছে, সে পুরোপুরি রোবট বা যান্ত্রিক পুলিশ। এটা দুবাই পুলিশের প্রথম রোবট পুলিশ। কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করছে, ২০৩০ সাল নাগাদ তাদের ফোর্সে প্রায় ২৫% রোবট পুলিশ দেখা যাবে।
তবে এখানে বলে রাখা ভালো, এই রোবট পুলিশের সঙ্গে কিন্তু কোনো অস্ত্র বা পিস্তল নেই। এটা শুধুমাত্র প্রহরার ডিউটি বা তথ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত। দুবাইতে ব্যবহৃত রোবোকপ মূলত টিকিট কাটা বা টিকিট চেক করা, ভুল করলে জরিমানা আদায় করা কিংবা তার চোখে থাকা ক্যামেরার দ্বারা ছবি তুলে তা কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারে পাঠাতে পারে।
সম্প্রতি দুবাইতে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে প্রথম এই রোবোকপ দেখা যায়। গালফ ইনফরমেশন সেকিউরিটি এক্সপো অ্যান্ড কনফারেন্সে রোবোকপকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তবে দায়িত্ব পালনের চেয়ে রোবোকপকে সেলফি তুলতেই বেশি ব্যস্ত দেখা যায়! এক্সপোতে আসা দর্শানার্থীরা রোবোকপের সঙ্গে সেলফি তুলতে বেশ আগ্রহী ছিল। এখানে যতই সেলফি তুলুক, দুবাই পুলিশ কর্তৃপক্ষ কিন্তু তাদের রোবট পুলিশকে সামনে বেশ বড়সর দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে।
দুবাই পুলিশের ব্যবহৃত এই রোবটের উৎপাদন নাম হচ্ছে ‘রিম’। স্পেনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পাল রোবোটিকস মানুষ আকৃতির এই রোবট বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করে থাকে। রিম ১.৭ মিটার লম্বা, ১০০ কেজি ওজন এবং একবার চার্জে প্রায় ৮ ঘন্টা ডিউটি দিতে পারে।
পাল রোবোটিকস জানাচ্ছে, রিম রিসিপশোনিস্ট কিংবা এন্টারটেইনার হিসেবে কাজ করতে পারে। এটা কাস্টমারকে তথ্য প্রদান কিংবা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পারে। এমনকি এটা জোকস শোনাতেও পারে। এটা সম্পুর্ণ কাস্টমাইজ রোবট। তাই আপনি চাইলে একে বিভিন্ন কাজের উপযোগী করে ব্যবহার করতে পারবেন।
রিম এর বুকে একটি মনিটর লাগানো আছে। এখান থেকেও চাইলে নানা তথ্য নেয়া যায়। রিমকে আপাতত দুবাই কর্তৃপক্ষ পুলিশের রুপেই উপস্থাপন করেছে।