ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে সারা পৃথিবীতে শীর্ষস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গত বছর চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটিতে ইন্টারনেটের গড় গতি ছিলো ২৯ এমবিপিএস। তবে মজার কথা হলো ইন্টারনেটের জন্মস্থান যুক্তরাষ্ট্র তালিকায় প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে নেই।
ইন্টারনেট সেবার ওপর নজর রাখা প্রতিষ্ঠান আকামাই বিশ্বের বেশ কিছু দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর জরিপ চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে।
ইন্টারনেটের গতিতে নরওয়ে, সুইডেন ও হংকংকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ২৩.৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে নরওয়ে দ্বিতীয়, ২২.৮ এমবিপিএস নিয়ে সুইডেন তৃতীয় ও ২১.৯ এমবিপিএস গতি নিয়ে হংকং চতুর্থ হয়েছে।
সারা বিশ্বে বর্তমানে ইন্টারনেটের গড় গতি ৭ এমবিপিএস। সেদিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চারগুণ বেশি গতির সুবিধা পেয়ে থাকেন।
তালিকায় ১৬তম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ইন্টারনেটের গড় গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৫ মেগাবিট। শীর্ষ দশে জায়গা না পেলেও আশার কথা হলো তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় দেশটিতে ইন্টারনেটের গতি ৭.৭ শতাংশ বেড়েছে। আর তালিকায় সব শেষে জায়গা পেয়েছে ফিলিপাইন ও ভারত।
দ্রুত গতির ইন্টারনেট রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সুইজারল্যান্ড (২১.২ এমবিপিএস), ডেনমার্ক (২০.৭ এমবিপিএস), ফিনল্যান্ড (২০.৬ এমবিপিএস), সিঙ্গাপুর (২০.২ এমবিপিএস)।
এশিয়ার ১৫টি দেশের ইন্টারনেটের গতি নিয়েও জরিপ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশগুলোর গড় ইন্টারনেট গতি ছিলো মাত্র ৪ এমবিপিএস। এশিয়ার মধ্যে মাত্র আটটি দেশে ১০ এমবিপিএস বা তার চেয়ে বেশি গতির ইন্টারনেট পেয়েছে আকামাই।