আপনি প্লেনে বসার পর তামাক খেতে পারবেন না। কিন্তু প্লেন তামাকের ব্যবহার করতে পারবে। তামাক গাছ থেকে তৈরি করা বায়োডিজেল দিয়ে বিমান চালানোর প্রস্তুতি করা হচ্ছে। এই কাজে সবার প্রথমে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এয়ারওয়েজ।
গত বছর জুলাই মাসে এর পরীক্ষা করার জন্য ৩০০ যাত্রীর জেট বিমানকে জোহানেসবার্গ থেকে কেপ টাউন ১২৮০ কিলোমিটারের মধ্যে বায়োডিজেল দিয়ে উড়িয়ে ছিল।
এবার আমেরিকান কোম্পানী বোয়িং এই কাজে তাদের সাথে যোগ দিয়েছে। যদি বৃহৎ মাপে বায়োডিজেলের ব্যবহার করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটা সস্তা এবং পরিবেশের জন্য ভালো হবে।
অনেক কিছু দিয়ে তৈরি করা হয় বায়োডিজেল, শৈবাল, ক্যামোলিনা তথা জাত্রোফা গাছপালা দিয়ে তৈরি করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় তামাককে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হলো এটি স্থানীয় ফসল এবং সহজে সরবরাহ করা যায়।
সেখানে তামাক গাছ দিয়ে জ্বালানি তৈরি করার জন্য সোলরিস প্রজাতির ব্যবহার করা হয়। তামাক উদ্ভিদ হওয়া এটায় নিকোটিনের মাত্রা কম থাকে।
এই বছর থেকেই সাউথ আফ্রিকান এয়ারওয়েস জৈব জ্বালানি ব্যবহার করতে শুরু করবে। শুরুতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বায়োডিজেল অল্প অংশ মিশিয়ে ব্যবহার করা হবে।
বিমান কোম্পানীগুলিকে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়। জ্বালানির ওপর এটা কোম্পানীর মোট খরচের এক তৃতীয়াংশ। এখন বায়োডিজেল যথেষ্ঠ ব্যয়বহুল। কিন্তু বৃহত্ মাত্রায় এটা উত্পাদন করা সম্ভব হলে। ব্যয় অনেকটা কমে যাবে।
আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান অনুযায়ী যদি বায়োডিজেল ব্যবহার শুরু হয়। তখন বিমান শিল্পের কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছোট হয়ে যায়। ফুটপ্রিন্ট যত ছোট হবে ক্ষতিও তত কম হবে।
তথ্যসুত্র : ইন্টারনেট