নতুন অভিবাসী আইন প্রণয়নের জন্য আলোচনা করছে সৌদি আরব সরকার। ওই আইনের মাধ্যমে ৫০ লাখ অভিবাসীর বিশাল অংশকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
সৌদি দৈনিক আল-হায়াতের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসন নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি বিশেষ কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির শুরা কাউন্সিল।
সৌদি আরবের অবৈধ অভিবাসী সমস্যা সম্পর্কে এই কাউন্সিলের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন কাউন্সিল সদস্য ড. সাদকা ফাদেল।
বিবিসিকে ফাদেল জানান, হজ, ওমরা বা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে এশিয়া এবং আফ্রিকার নানা দেশে থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু এঁদের বেশির ভাগই আর কখনো নিজ দেশে ফিরে যাননি। নিজেদের পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে তারা রাজধানী রিয়াদ, জেদ্দা, মক্কা, মদিনা ও তাইফের মতো শহরে লুকিয়ে কাজকর্ম করছেন। স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ বিয়েও করেছেন। এদের মধ্যে একটা বড় অংশ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
ফাদেল জানান, এই সমস্যাটিকে সৌদি সরকার জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি বড় একটি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। আর এ কারণেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা চলছে। ফাদেল জানান, তবে এসব অবৈধ অভিবাসী যাতে বৈধ হতে পারে, সৌদি সরকার প্রাথমিকভাবে সেই চেষ্টাই করবে।
ফাদেল আরো জানান, যাঁদের কাগজপত্র ঠিক করা যাবে, তাঁরা বৈধভাবে থাকার অনুমতি পাবেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রশ্নটিও বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু বহু অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন, যাঁরা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। এঁদের সৌদি আরব ছাড়তে হবে বলে তিনি জানান।