Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

base_1486206984-Untitled-1

মনে আছে সেই শিশুটির কথা? ‘অশুভ আত্মা’ ভর করেছে- এমন ধারণায় ‘শয়তানের বাচ্চা’ আখ্যা দিয়ে এক বছর আগে যাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছিল মা-বাবা। দেখতে একেবারে রুগ্ন, কঙ্কালসার আর কুৎসিত হওয়ায় প্রতিবেশিদের চাপেই এমনটা করতে বাধ্য হয়েছিল শিশুটির পরিবার। অনাহারই ‘শয়তানের বাচ্চা’ খেতাব এনে দিয়েছিল নাইজেরিয়ার এই শিশুটিকে।

chardike-ad

ঠিক এক বছর আগে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল সেই ছবি। তাতে দেখা গেচে, মা-বাবা ফেলে দেয়ার পর বিদেশী এক নারী অপার স্নেহে বাচ্চাটির মুখে দিচ্ছে পানি। তার এক হাতে ছিল শিশুটির মুখে ধরা মিনারেল ওয়াটারের বোতল আর অন্য হাতে বিস্কুটের প্যাকেট। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ শেয়ার হয়েছে এই পোস্ট।

এক বছর পর সেই একই ভঙ্গিমায় পোস্ট করা হয়েছে শিশুটির আরেকটি ছবি। মুখে ধরা একই ধরনের পানির বোতল। কিন্তু আগের ছবিটির চেয়ে এর পার্থক্য আকাশ-পাতাল। এখন আর দেখে চেনার উপায় নেই যে সেই অভুক্ত, কুৎসিত, রুগ্ন শিশুটির আজকে এই রূপ!

এক বছর আগে শিশুটিকে উদ্ধার করেছিলেন আফ্রিকায় কর্মরত ডেনমার্কের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘আফ্রিকান চিলড্রেনস এইড এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’র কর্মী আনজা রিনগ্রিন লভেন। আবর্জনা সরিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেন তিনি। আপাদমস্তক ধূলিমাখা একটি কঙ্কালসার দেহ। মনে হচ্ছিল এখনই মরতে যাচ্ছে সে।

নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে আনজা লিখেছেন, ‘২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি ডেভিড ইমানুয়েল উমেম, সিডিব ওরোক এবং আমাদের নাইজেরিয়া টিমের সঙ্গে আমি একটি উদ্ধার কাজে যাই। সেই উদ্ধার অভিযানটি ভাইরাল হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে, এই সপ্তাহ থেকে ও স্কুলে যেতে পারবে।’ আনজা শিশুটির নাম রেখেছেন ‘হোপ’ (আশা)।

সূত্র: ডেইলি মেইল