জাতিসংঘের সদ্য বিদায়ী মহাসচিব বান কি-মুন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বুধবার তিনি এ ঘোষণা দেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াব। এ ব্যাপারে বহু মানুষকে হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত।’
তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার আগে জনমত জরিপে তার সমর্থন ২০.৩ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩.১ শতাংশে দাঁড়ায়।
বিশ্ববাসীর কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত মুন গত মাসে তার দেশে ফিরে আসেন। তিনি এক দশক ধরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না দিলেও তিনি নির্বাচন করবেন বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হচ্ছিল।
ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট বান কি-মুন কখনই তার দেশের কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি। তবে তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রোহ মুন-হিয়ুনের অধীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জাতিসংঘের প্রধান হিসেবে সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে বান কি-মুন বলেছিলেন, কিছু সময় বিশ্রাম নেয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যাবো। সেখানে ফিরে কিভাবে দেশকে সবচেয়ে ভালভাবে সহায়তা করা যায় তা ভেবে দেখবো।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বর্তমান প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন অভিশংশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। পার্ক তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশটির সাংবিধানিক আদালত অভিশংসন ভোট বহাল রাখলে তিনিই হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক যুগের প্রথম ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট। সাংবিধানিক আদালতকে ১৮০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত রায় প্রদান করতে হবে।