Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

161114-obama-last-trip-featureওভাল অফিস ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ফিলিস্তিনের জন্য ২২ কোটি ১০ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা পাঠান সদ্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কংগ্রেসে রিপাবলিকান সদস্যদের ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও তিনি ওই অর্থ পাঠিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই অর্থ গাজা ও পশ্চিমতীরের মানবিক সহায়তার কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া সুশাসন ও রাজনৈতিক সংস্কারের কাজেও লাগানো হবে ওই সহায়তা।

chardike-ad

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা জানান, ওই অর্থ খরচের ব্যাপারে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে কংগ্রেসকে অবহিত করেন ওবামা। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডেনাল্ড ট্রাম্প।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বৃহস্পতিবার অফিস ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে ফিলিস্তিনকে অর্থ সহায়তার বিষয়টি হাতেগোনা কয়েকজন কংগ্রেস সদস্যকে জানিয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। তবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে তা আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসকে জানানো হয়।

ফিলিস্তিনের জন্য ওই ২২ কোটি ১০ লাখ ডলার ছাড়াও পররাষ্ট্র বিষয়ক খরচ হিসেবে আরো ৬০ লাখ ডলার ব্যয়ের কথাও একই সময়ে কংগ্রেসকে জানানো হয়, যার ৪০ লাখ ডলার অর্থ দেয়া হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সংক্রান্ত তহবিলে এবং ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার জাতিসংঘকে।

আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটিকে দেয়া অর্থ ব্যয় হবে যৌন নিপীড়নবিরোধী কাজে এবং ওজনস্তর রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায়। একই তথ্য জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের পরামর্শকরাও। তবে অনুমতি না থাকায় তারা তাদের নাম প্রকাশ করেনি।

ফিলিস্তিনিদের ওবামার অর্থ সহায়তা দেয়ার সংবাদটি এমন এক সময়ে এলো, যখন আরবদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও ট্রাম্প যখন ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। এটি বাস্তবায়ন করা হলে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি প্রক্রিয়াকে হত্যা করা হবে বলে দাবি ফিলিস্তিনিদের।

এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিকে দেশ দুটির মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বললেও ইসরায়েলি নীতিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী মাসে ওয়াশিংটনে তার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর।

এর আগে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোটো না দেয়ায় ওবামা প্রশাসনের ওপর ক্ষুদ্ধ হয় ইসরায়েল। ওই ঘটনার পেছনে ওবামাই দায়ী বলে দাবি করে দেশটি। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার নিন্দা করেছিলেন ট্রাম্পও। ক্ষমতা গ্রহণের পর ওই প্রস্তাবনা বাতিল করে দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, ডেইলি মেইল