বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর সাতটি বিভাগে সাতজন লেখক এ পুরস্কার পাচ্ছেন। গতকাল বিকালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। গতকাল সকালে বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করা হয় বলে জানান একাডেমির মহাপরিচালক।
এ বছর কবিতায় পুরস্কারটি পাচ্ছেন আবু হাসান শাহরিয়ার। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে অন্তহীন মায়াবী ভ্রমণ, অব্যর্থ আঙুল, তোমার কাছে যাই না তবে যাব, একলব্যের পুনরুত্থান, নিরন্তরের ষষ্ঠীপদী অন্যতম। আর কথাসাহিত্যে পুরস্কারটি পেতে যাচ্ছেন শাহাদুজ্জামান। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ক্রাচের কর্নেল, কয়েকটি বিহ্বল গল্প, পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ, খাকি চত্বরের খোয়ারি, আধো ঘুমে ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে, বিসর্গতের দুঃখ অন্যতম। এছাড়া প্রবন্ধ ও গবেষণায় মোরশেদ শফিউল হাসান, অনুবাদে নিয়াজ জামান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে এমএ হাসান, স্মৃতিকথায় নুরজাহান বোস ও শিশুসাহিত্যে রাশেদ রউফ এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এ বছর নাটক ও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিভাগে কাউকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণার সময় একাডেমির সদস্য রামেন্দু মজুমদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে বাংলা সাহিত্যের এটি সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার। ১৯৬০ সালে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। বর্তমানে মোট ১০টি বিভাগে এ পুরস্কার দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেবেন। প্রতি বিভাগে পুরস্কারপ্রাপ্তদের ১ লাখ টাকা, সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক দেয়া হবে। গত বছর ১০ বিভাগে ১১ জনকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কবিতায় আলতাফ হোসেন, কথাসাহিত্যে শাহীন আখতার, প্রবন্ধে আবুল মোমেন ও আতিউর রহমান, গবেষণায় মনিরুজ্জামান, অনুবাদে আবদুস সেলিম, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে তাজুল মোহাম্মদ, আত্মজীবনী-স্মৃতিকথা-ভ্রমণ বিষয়ে ফারুক চৌধুরী, নাটকে মাসুম রেজা; বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিষয়ে শরীফ খান এবং শিশুসাহিত্যে সুজন বড়ুয়া এ পুরস্কার পান।