বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির মধ্যে চিন্তা ও সৃজনীশক্তির লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। অঞ্চল বিচারে এক্ষেত্রে পৃথিবীতে সবার আগে রয়েছে নরডিক দেশগুলো। শীর্ষ ২০ উদ্ভাবনমুখী অর্থনীতির তালিকায় এশীয় দেশের সংখ্যা তিন। আর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন উদ্ভাবনের দৌড়ে ২১ নম্বরে রয়েছে। ব্লুমবার্গ ইনোভেশন ইনডেক্সে এসব তথ্য উঠে এসেছে। খবর ব্লুমবার্গ।
গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) কার্যক্রমের সন্নিবিষ্টতা, মূল্য-সংযোজিত উত্পাদন (ভ্যালু-অ্যাডেড ম্যানুফ্যাকচারিং) ও পেটেন্ট কার্যক্রমে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। দেশটি উচ্চপ্রযুক্তির কারখানার ঘনত্ব, কর্মশক্তিতে উচ্চশিক্ষার উপস্থিতি ও গবেষণা কর্মকাণ্ড সন্নিবেশের হিসাবে বিশ্বে শীর্ষ পাঁচ অর্থনৈতিক শক্তির তালিকায় অবস্থান করে নিয়েছে। সামগ্রিক এ অগ্রসরতার সুবাদে পূর্ব এশিয়ার দেশটি ২০১৭ সালেও উদ্ভাবনী সারণিতে এক নম্বর অবস্থান ধরে রেখেছে।
এবারের উদ্ভাবন সূচকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নরডিক দেশ সুইডেন। আরঅ্যান্ডডি সন্নিবিষ্টতা, মূল্য-সংযোজিত উত্পাদন, পেটেন্ট কার্যক্রম, উচ্চপ্রযুক্তির কারখানা, উচ্চশিক্ষার উপস্থিতি ও গবেষকের আধিক্যে সুইডেন দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু উত্পাদনশীলতায় সুইডেনের (স্কোর ১৫) চেয়ে দক্ষিণ কোরিয়া (৩২) এগিয়ে থাকায় সামগ্রিক বিচারে এশীয়রা সামনে পৌঁছে গেছে। উত্পাদনশীলতায় দক্ষিণ কোরিয়ার স্কোর গত বছরও একই সমান (৩২) ছিল।
সার্বিক উদ্ভাবন সূচকের শীর্ষ দশে দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেনের পর রয়েছে যথাক্রমে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। উচ্চপ্রযুক্তির কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফিনল্যান্ড এবার আগের চেয়ে দু’ধাপ এগিয়ে পঞ্চম অবস্থানে উঠেছে। আরেক নরডিক দেশ নরওয়ে এবারো তালিকায় ১৪তম স্থান ধরে রেখেছে।
ব্লুমবার্গের উদ্ভাবন সূচকে উল্লেখযোগ্য অন্যান্য দেশের অবস্থান হলো— ফ্রান্স (১১), অস্ট্রিয়া (১২), বেলজিয়াম (১৩), যুক্তরাজ্য (১৭), অস্ট্রেলিয়া (১৮), নিউজিল্যান্ড (১৯), কানাডা (২০) ও রাশিয়া (২৬)।