বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও আয়করসংক্রান্ত পাঁচটি মামলার কার্যক্রম চলবে বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এর আগে দেয়া মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে মঙ্গলবার এ রায় দেয় হাইকোর্ট।
এর মধ্যে চাঁদাবাজির তিনটি মামলায় তারেক রহমানকে ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। তারেক রহমানের করা পৃথক পাঁচ রিটের নিষ্পত্তি করে এ রায় দেয়া হয়।
আদালতে
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, দুটি যুক্তিতে আদালত আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
তারেক রহমানের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, মুদ্রা পাচার মামলায় আইনের দৃষ্টিতে তারেক রহমান পলাতক বলে আদালত এসব মামলায় তাদের অংশগ্রহণ করতে দেননি।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান, শাহবাগ ও কাফরুল থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়। তারেক রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এই তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন আদালত। অন্যদিকে ২০০৭ সালে ও ২০০৮ সালে আয়কর বিবরণীতে অসত্য তথ্য দেয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিম্ন আদালতে পৃথক দুটি মামলা করে। এই দুই মামলায়ও তারেকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল ও মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি এসব রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। নয় বছর ও আট বছর আগে হওয়া মামলায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করে রায় দেন আদালত।