দিনের একেবারে শেষ বলে ক্রস খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে বাংলাদেশ ভক্তদের হৃদয়ে আঘাত দিয়ে গেলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৪৭ রানে রিয়াদের আউটের সঙ্গে দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে সফরকারী ইংল্যান্ডের চেয়ে ১২৮ রানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টাইগারদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫২ রান।
অন্যপ্রান্তে অপরাজিত আছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। ৫৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে খেলা শুরু করবেন তিনি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২২০ রানের জবাবে এদিন ২৪৪ রান করে ইংল্যান্ড। ২৪ রানে পিছিয়ে থেকেও দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ও ইমরুল। জুটি গড়েন ৬৫ রানের।
এরপর তিন বলের ব্যবধানে আউট হয়ে যান প্রথম ইনিংসে ১৭০ রানের জুটি গড়া তামিম ও মমিনুল। বাঁহাতি ইংলিশ স্পিনার জাফর আনসারির প্রথম টেস্ট উইকেট হিসেবে ব্যক্তিগত ৪০ রানে আউট হন তামিম। ক্রিজে এসে প্রথম বলেই এক রান নেন মমিনুল। আনসারির ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় স্ট্রাইক ফিরে পান তিনি। বেন স্টোকসের করা ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই স্লিপে অ্যালিস্টার কুকের তালুবন্দি হন মমিনুল। ফিরে যান ১ রান করেই।
৬৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর টাইগারদের ইনিংসের হাল ধরেন ইমরুল-মাহমুদুল্লাহ। দুজনের জুটি থেকে আসে ৮৬ রান। ইমরুল কায়েস তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। টেস্টে তার সেঞ্চুরি রয়েছে তিনটি। তার ৮১ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ৮টি চারে। সুইপ-রিভার্স সুইপের দারুণ মিশেলে ইংলিশ বোলারদের মুখের হাসি কেড়ে নেন ইমরুল।
কিন্তু তাদের শেষ হাসির উপলক্ষ এনে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দিনের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে জাফর আনসারির বলে আত্মাহুতি দেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
এর আগে ৩ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা ইংল্যান্ড প্রথম থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ১৪৪ রানের মধ্যেই তারা হারায় ৮টি উইকেট।
একসময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের লিডের পরিমাণ ৫০ রানের বেশি হবে। কিন্তু সে আশায় পানি ঢেলে দেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। নবম উইকেট জুটিতে এ দুজন যোগ করেন ৯৯ রান। তাতেই ২৪ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে টাইগারদের হয়ে মূল আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষেকের পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও তিনি একাই শিকার করেন ৬টি উইকেট। এছাড়া তাইজুল ইসলাম ৩টি ও সাকিব ১টি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২২০ রান।