নোবেল পুরস্কার প্রদানের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিশ্বব্যাপী এটা নিয়ে ততই জল্পনা-কল্পনার ডালপালা বিস্তার লাভ করছে। এবারে সাহিত্যে নোবেল জয়ী মার্কিন গায়ক ও গীতিকার বব ডিলান এ পুরস্কার নেবেন কিনা সে বিষয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। আর বিষয়টি নিয়ে ডিলানও ছিলেন একেবারেই নিশ্চুপ।
অবশেষে নোবেল প্রাপ্তির বিষয়ে নীরবতা ভেঙ্গেছেন তিনি। পুরস্কার ঘোষণার প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরে এসে প্রতিক্রিয়ায় ডিলান বলেন, ‘এবারের নোবেল পুরস্কারে তার নাম ঘোষণার ঘটনাটি বাকরুদ্ধ করে দিয়েছিল।’ নোবেল ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বব ডিলান নিজে থেকেই নোবেল কমিটিকে টেলিফোন করেছিলেন। এসময় তিনি চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল প্রাপ্তিতে সম্মানিত বোধ করার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণা করায় তিনি বাকরুদ্ধ হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন।
এর ফলে ডিলানের নোবেল বর্জনের যে জল্পনা ডালপালা মেলেছিল, তা হয়তো থেমে যাবে। কিন্তু আগামী ১০ ডিসেম্বর এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি সুইডেনে উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, সঙ্গীতের ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক মূর্ছনা তৈরির জন্য গত ১৩ অক্টোবর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেন ডিলান। এর পরপরই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ডিলানের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে গণমাধ্যম, সবখানেই চলছে এ বিতর্ক।
এ বিতর্কের মাঝেই খবর আসে নোবেল কমিটি ডিলানের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। বারবার ফোন করা সত্ত্বেও ডিলান ফোন ধরেননি, এমনকি নোবেল কমিটির প্রতিনিধিদের সাথেও দেখা করতে রাজি হননি তিনি। জানাননি আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া। এমনকি লাস ভেগাসের একটি কনসার্টে তিনি এ বিষয়ে ছিলেন পুরোপুরি নিশ্চুপ।
এরপর তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাকে ‘সাহিত্যে নোবেল জয়ী’ হিসেবে উল্লেখ করার কিছুসময় পরে তা মুছে ফেলা হয়। ফলে চলমান বিতর্ক নতুন মাত্রা পায়। এসময় খোদ সুইডিশ একাডেমির সদস্য ও লেখক পার ওয়াস্টবার্গ ডিলানের এ আচরণকে ‘শিষ্টাচারহীনতা ও ঔদ্ধত্য’ বলে অভিহিত করেন।
সূত্র: বিবিসি