Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bnp

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে দেখা না করে বর্তমান সরকারে প্রতি অনাস্থারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এ দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন হিসেবে চীন এরশাদ বা রওশন এরশাদ নয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেই ভাবে বলেও জানান তিনি।

chardike-ad

আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এম এ হাদীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পুরো পৃথিবীর নজর বাংলাদেশের দিকে। তিনি বলেন, চীন তার নিজস্ব স্বার্থে এই অঞ্চলের উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে বিপুল ঋণ ও বিনিয়োগ করলেও ক্ষমতাসীনদের ওপর পূর্ণ আস্থা আনতে পারেনি।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তাঁর (চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং) এই বাংলাদেশে যে সফর, সফরে অফিশিয়াল যে বিরোধী দলের নেত্রীর (জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ) সঙ্গে দেখা না করে ১৬ কোটি মানুষের নেত্রীর (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করেছেন। আমি বলেছি এটার মাধ্যমেও একটা ইঙ্গিত, সেটা হচ্ছে এই যে অনির্বাচিত সংসদ, সেই সংসদকে চীন রিকগনাইজ করে না। করে না বলে তার বিরোধী দলের নেতাকে রিকগনাইজ করে নাই। জনগণের নেতাকে রিকগনাইজ করেছে এবং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন।’

একই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পৃথিবীর সব পরাশক্তি এ দেশে ঘাটি করতে চায়। শুধু চীন-ভারতই নয় কিছুদিনের মধ্যে এ দেশে আসবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেকে। শক্তিধর এসব দেশের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষাসহ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে দেশে কোনো বিশেষজ্ঞ নেই বলে দাবি করেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘চীন, আরেকটু দূরে যুক্তরাষ্ট্র। এরা মুখিয়ে আছে দেখার জন্য। কোনোভাবে এখানে পা ফেলা যায় কি না এটা তাদের লক্ষ্য। যদি আমাদের নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হয় এই পর্যায়ে যাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হবে তাদের সঙ্গে সঠিকভাবে কথাবার্তাগুলো যেন বলা হয়। তার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে হবে।’

এ ক্ষেত্রে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশীয় স্বার্থ রক্ষার করতে পেশাজীবী সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার দাবিও জানান অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।