Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

traffic-fitnessপৃথিবীর কোথাও নেই, শুধু বাংলাদেশেই চোখের দেখায় যানবাহনের ফিটনেস সনদ দেওয়া হয়। এমন অভিযোগ করে সড়ক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্যবস্থা কার্যকর রেখে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার চিন্তা করা যেমন অবৈজ্ঞানিক তেমনি অবাস্তবও। এজন্য উন্নত প্রযুক্তি আনার পরও কার স্বার্থে ব্যবহার করা হয় না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

যেই যানবাহটি সড়ক মহাসড়কে ছুটে চলে দুরন্ত গতিতে, তার ফিটনেস সনদ দিতে কত সময় লাগে? রাজধানীর মিরপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে খুব একটা সময় লাগেনি। কারণ ফিটনেস সনদ দিতেও খুব একটা সময় লাগছিল না। গাড়িটি সড়কে চলার মতো ঠিকঠাক আছে কি না, তা দেখতে ফিটনেস পরিদর্শক মোহাম্মদ সাবিরুজ্জামানের  সময় লাগছিল কখনো এক মিনিট; কখনো খানিকটা বেশি। সাবিরুজ্জামান জানালেন, চোখের দেখায় দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ গাড়ির ফিটনেস দিচ্ছেন। আর এভাবে চোখের দেখায় ফিটনেস দেওয়ায় কোনো ভুল হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।

chardike-ad

দ্রুত ফিটনেস দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা-পয়সা লেনদেনের অভিযোগ থাকলেও তা নাকচ করেন সাবিরুজ্জামান।

এদিকে অনেক কাঠ-খড় পোড়ানোর পর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে যানবাহনের ফিটনেস সনদ দেওয়ার জন্য মিরপুরের বিআরটিএর ওই কার্যালয়ে উন্নত প্রযুক্তি বসানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি, আছে পরীক্ষামূলক অবস্থায়। দেশের যেসব জায়গা থেকে ফিটনেস সনদ দেওয়া হয় সব জায়গায় এমন প্রযুক্তি বসানোর দাবি সড়ক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের।