Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

8c5631472a2744662b5a2936d9483828-online_sylhet

সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাবি ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসের মস্তিষ্কে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার হয়েছে।

chardike-ad

খাদিজাকে বাঁচানোর সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে এ অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি আইসিইউতে আছেন। সেখানে ৭২ ঘণ্টা রাখা হবে। এর পরই মূলত তার বাঁচা-না বাঁচার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপাচার শুরু হয়। তবে ডাক্তার জানিয়েছে তার বাঁচার আশা ক্ষীণ।

এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ঢাকায় আনার পরেই তার সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন অপারেশন করা যাবে, কিন্তু বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ৫ শতাংশ। তবে অলৌকিকভাবে সে বেঁচে গেলেও আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে না।

স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রেজাউস সাত্তারের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তবে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পরই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে।

সোমবার নিজ কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ছাত্রলীগের এক নেতার ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন খাদিজা।

পরে তাকে উদ্ধার করে সোমবার বিকেলে গুরুতর জখম অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস জানান, তার মাথায় পাঁচ-ছয়টি কোপ দেয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি।

তারা বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। কোপে গুরুতর জখম হয়েছে। স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর পরিস্থিতি দেখে তৎক্ষণাৎ তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়।

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে বন্দর-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করছেন। তারা হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বুধবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ছাড়া এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের সামনেও মানববন্ধন করছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

সিলেট মহানগর পুলিশ দক্ষিণের উপকমিশনার (ডিসি) বাসুদেব বণিক জানান, হামলাকারী যুবককে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনাটি প্রেম সম্পর্কিত কারণে ঘটেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

এদিকে মঙ্গলবার ওই হামলার ঘটনায় একমাত্র ঘাতককে আসামি করে মামলা করেছেন আহত ছাত্রীর বাবা।

এ ছাড়া মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঘাতকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বার দিয়েছেন।