যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম বিতর্ক পরবর্তী জরিপে বিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে নানা বিতর্তে বিতর্কিত ট্রাম্পের চেয়ে ৩৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক ফাস্টলেডি হিলারি।
অগ্নিঝরা বিতর্কের শুরুতেই একে অপরকে তীব্র আক্রমণ করেন দু’প্রার্থী। ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও কেউ কাউকে ছাড়েননি। তবে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য্য আর যুক্তিতে জয় হয় হিলারির। তাদের বিতর্কে উঠে এসেছে, মার্কিন অর্থনীতির সংস্কার, বর্ণবৈষম্য, জঙ্গিবাদ, প্রার্থীদের ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ।
সিএনএনের বিতর্ক পরবর্তী জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, যুক্তিতে ৬২ শতাংশ জিতেছেন হিলারি। বিপরীতে ট্রাম্প জিতেছেন মাত্র ২৭ শতাংশ। তবে বিতর্ক শুরু আগে দুজনের লড়াইটা ছিল হাড্ডাহাডি।
নির্বাচনের ৪৩ দিন আগে অনুষ্ঠিত প্রথম বিতর্কে ট্রাম্পকে ধরাশয়ী করে শক্ত অবস্থানে থাকলেন হিলারি। বিতর্ক শুরু আগের দিন সিএনএনের প্রকাশিত জরিপে দেখা গিয়েছিল দু’জনের ব্যবধান মাত্র এক পয়েন্টের। ওই সময় তাদের ভোট ছিল যথাক্রমে ৪২ ও ৪১ শতাংশ। একই সময়ে পেনসেলভিনিয়ায় পার্থক্য ছিল ৪৫ ও ৪৪ শতাংশ।
প্রথম বিতর্কের চার দিন আগে সিএনএনের প্রকাশিত জরিপে হিলারি-ট্রাম্পের পার্থক্যটা ছিল দুই পয়েন্টের। ফাস্টলেডির ৪৪ শতাংশের বিপরীতের ধনকুবের সমর্থন ছিল ৪২ শতাংশ।
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক টেলিভিশন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দেখা বিতর্ক অনুষ্ঠান বলে ধারণা করা হচ্ছে। সারাবিশ্বে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখেছেন। ৮ই নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার আগে এই দুই প্রধান প্রার্থী আরো দুইটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেবেন।