মধ্যবর্তী নির্বাচন নয়, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনায় বসা উচিত বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, গোটা দেশ অশান্তি, অস্বস্তি আর দুশাসনে ছেয়ে গেছে, যার সবকিছুর মূলে রয়েছে গণতন্ত্রহীনতা।
বিএনপি নেতা বলেন, চলমান সংকট নিরসনে নিজেদের স্বার্থেই বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতে হবে সরকারকে। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের চেয়েও বর্তমান সময়ে বেশি বিরাজনীতিকীকরণ চলছে বলে মনে করেন তিনি।ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন এ দেশে আমরা যে কথা বলছি, এটাই তো বিশাল ব্যাপার। আপনারা কতটুকু লিখতে পারছেন, আমরা দেখছি। আওয়ামী লীগের ব্যাপারে কিছু লেখেন না আপনারা। কারণ, লিখতে পারেন না। আই ডোন্ট ব্লেম ইউ (আমি আপনাদের দোষ দিচ্ছি না)। আপনারা পারেন না, সেই পরিবেশ নেই। তুমি জনগণের কাছে থাকতে চাও, তুমি যদি জনগণকে নিয়ে সব সমস্যা মোকাবিলা করতে চাও, জঙ্গিবাদ দমন করতে চাও, অবশ্যই বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে করত হবে।’দেশে গণতন্ত্র থাকলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হতো না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভিন্নমতকে দমন করে জোর করে ক্ষমতায় থাকা কোনো সমাধান নয়।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন আবার কী, আমরা তো এ মুহূর্তে নির্বাচন চাই। কিন্তু সেই নির্বাচনটা হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আগামী নির্বাচন সম্পর্কে একটা আলোচনা হওয়া উচিত যে, আগামী নির্বাচনটা কীভাবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, ইনক্লুসিভ একটা নির্বাচন হতে পারে।’শহীদ জিয়াউর রহমানের পদক প্রত্যাহার কিংবা মাজার সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র সরকারের নিচু মানসিকতার পরিচয় বলেও মন্তব্য বিএনপির মহাসচিবের। এনটিভি সংবাদ।