উত্তর কোরিয়া পঞ্চম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপে তাৎক্ষনিকভাবে কাজ শুরু করার ব্যাপারে একমত হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদ উ. কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার কঠোর নিন্দা জানায় এবং জাতিসংঘ সনদের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি নতুন খসড়া প্রস্তাবের কাজ শুরু করতে একমত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের দূত গেরার্ড ভ্যান বোহেমেন বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা প্রস্তাবের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অবিলম্বে কাজ শুরু করবে । তিনি বর্তমানে পরিষদের পর্যায়ক্রমিক প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
উত্তর কোরিয়া শুক্রবার সফলভাবে তাদের পঞ্চম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়। এর শক্তি ১০ কিলোটিন। দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষ্য, পরীক্ষাটি উত্তর কোরিয়ার এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। এর ফলে দেশটি উল্লেখযোগ্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দ. কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া ও চীন সবাই এ পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে। উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ব্যাপারে দেশটির মিত্র চীনের বাধা সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য জাপান, দ. কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে পরিষদ বৈঠকে বসে।
বৈঠকের পর চীনের দূত লিউ জেইয়ি বলেন, সব পক্ষকে পারস্পরিক উস্কানি এবং পরিস্থিতিকে আরো গুরুতর করতে পারে এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। ২০০৬ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর উ. কোরিয়ার ওপর এ পর্যন্ত পাঁচবার জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় ভূতাত্ত্বিক সংস্থাগুলো শুক্রবার সকালে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষাস্থলের কাছে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূকম্পন শনাক্ত করে। এরপরই সন্দেহ হয়, পিয়ংইয়ং পঞ্চম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। এরপর উ. কোরিয়া পঞ্চম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর দাবি করে।
অতীতেও সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় কাছাকাছি তীব্রতার একাধিক ভূকম্পনের পর দেখা যায়, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি চতুর্থ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর আগে ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে তিন দফায় পারমাণবিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।