উত্তর কোরিয়া এক শক্তিশালী পরমাণু পরীক্ষা চালানোর পর বিশ্বনেতারা এর তীব্র নিন্দা করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, উত্তর কোরিয়া এক লাগাম ছাড়া উন্মাদের মতো আচরণ করছে।
উত্তর কোরিয়ায় পাঁচ দশমিক তিন মাত্রার একটি ভূমিকম্প সনাক্ত হওয়ার পর দেশটি তাদের পঞ্চম পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ভূকম্পন কৃত্রিম বলে বলছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম। যে এলাকায় ওই ভূমিকম্প হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বলছে, সেটি উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক পরীক্ষা ক্ষেত্র।
তবে এখনো এই বিষয়ে দেশটি কোন ঘোষণা দেয়নি।
যদিও দেশটির বিরুদ্ধে পারমানবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
কিন্তু গত জানুয়ারি মাসেই নিজেদের সর্বশেষ পারমানবিক পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
এরপরে আরো কয়েক দফায় দেশটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া এ পর্যন্ত পাঁচটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালালো।
সবশেষ এই বিস্ফোরণটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমার ওপর ফেলা বোমাটির মতোই শক্তিশালী, এবং উত্তর কোরিয়া বলেছে – এটি একটি নতুন ধরণের ওয়ারহেড অর্থাৎ এমন বোমা যা ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় বসানো যায়, এবং তারা এখন এই প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তবে এর মাধ্যমে তারা প্রতিবেশীদের ওপর আক্রমণ চালানোর ক্ষমতা অর্জন করলো কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এখনো মতভেদ আছে।
এই পরীক্ষার তীব্র নিন্দা করে প্রতিবেশী দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হি বলেছেন, কান্ডজ্ঞানহীন উন্মাদের মত এই কাজ দেশটির ধ্বংস, বিচ্ছিন্নতা এবং আরো নিষেধাজ্ঞাই ডেকে আনবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , রাশিয়া ও জাপান এতে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এখন পর্যন্ত উতর কোরিয়াকে তাদের পারমাণবিক কর্মসুচি থেকে নিবৃত্ত রাখা যায় নি।
আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে এক প্রধান মিত্র চীনের আপত্তি রয়েছে। বিবিসি।