ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের ‘বিচ্ছেদ’ নিয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউনিয়নের নেতারা।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লদ ইউঙ্কার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি খুব দ্রুতই আলাপ-আলোচনা শুরু করবেন।
বৃহস্পতিবারের গণভোটে ৫২ শতাংশ ব্রিটিশ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাবার পক্ষে ভোট দেয়, আর থাকার পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ।
গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর পুরো ইউরোপ জুড়ে দেখা দিয়েছে এর নানামুখী প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর তার জায়গায় যিনি আসতে পারেন বলে জোড় গুঞ্জন তৈরি হয়েছে তিনি লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন। তিনি মনে করেন, ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে এখনই এতো তড়িঘড়ি করার কোনো প্রয়োজন নেই।
ব্রিটেনের এই চলে যাবার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপ। ইইউ-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইইউ-এর প্রতিষ্ঠাকালীন ছয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবারে এক জরুরী সভায় বসার কথা রয়েছে। তবে এই বৈঠকে ব্রিটেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তবে, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেইয়ার, অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন ব্রিটেনের প্রতি কোন রিরূপ মনোভাব না রাখেন।
তিনি বলছেন, ব্রিটেনের জনগণের সিদ্ধান্তকে আমাদের শ্রদ্ধা জানতে হবে। ব্রিটেন চলে যাওয়ায় তারা দুঃখিত, কিন্তু এটা হতাশার সময় নয়, কারণ এখন সবাই মিলে ইউরোপকে একত্রিত রাখতে হবে।
গণভোটের রেজাল্টের পর যে কয়েকটি ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রভাব পড়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ব্রিটেনের মুদ্রা। একদিকে পাউন্ডের দাম কমেছে। অন্যদিকে, ব্রিটেনের সরকারী বন্ডগুলোও এখন সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ব্রিটিশ গণভোটে উঠে আসা জনগণের মতামতকে তিনি শ্রদ্ধা করেন, এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমেরিকার যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে তা অটুট থাকবে।-বিবিসি