জাপানে সাত বছর বয়সী এক ছেলে সন্তানের বাবা তার সন্তানকে ফেলে আসার জন্য শুক্রবার ক্ষমা চেয়েছেন। তার সন্তান নিরাপদ অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার পর তিনি ক্ষমা চাইলেন।
শাস্তি হিসেবে বাবা-মা তাদের সন্তানকে পার্বত্য বনভূমি এলাকায় ফেলে আসায় শিশুটি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিল।
ইয়ামাতো তানুকার চিকিৎসার জন্য তাকে যে হাসপাতালে রাখা হয়েছে সেই হাসপাতালের বাইরে তার বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাড়াবাড়িমূলক কাজের জন্য আমাদের ছেলেকে কষ্টকর সময় কাটাতে হয়েছে।’
উদ্ধার কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘তার স্কুলের লোকদের ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া লোকজনকে আমি যে সমস্যায় ফেলেছি সেজন্য তাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, ছেলেকে শাস্তি দেওয়ার জন্য জাপানের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য বনভূমিতে ফেলে আসার এক সপ্তাহ পর শুক্রবার তাকে জীবিতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
একটি সামরিক ঘাঁটিতে সাত বছর বয়সী বালকটির সন্ধান পাওয়া যায়। সে অক্ষত ও সুস্থ রয়েছে। সাংবাদিকরা জানান, সে একটি কুঁড়ে ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল এবং সে পানি পান করার জন্য পানির ট্যাপ খুঁজে পায়। বালকটি অনেক ক্ষুধার্ত ছিল। উদ্ধার হওয়ার পরপরই সে দ্রুত খাবার খেতে চাই।
জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপের পুলিশ মুখপাত্র তোমোহিতো তামুরা বলেন, ‘আত্মরক্ষামূলক বাহিনীর এক কর্মকর্তা আনুমানিক সাত বছর বয়সী বালকটিকে উদ্ধার করে।’
তিনি এএফপিকে বলেন, ‘বালকটি বাহ্যিকভাবে অক্ষত ছিল এবং সে তার নাম ইয়মাতো তানোকা বলে নিজেই জানায়।’ তিনি আরো জানান, বালকের বাবা-মা তার সঙ্গে ছিল এবং এটা নিশ্চিত করা হয় সে তাদের সন্তান।
আত্মরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র মানাবু তাকেহারা জানান, বালকটিকে সুস্থ মনে হলেও তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হেলিকপ্টার যোগে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।