শনিবার বিকেলে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে চট্টগ্রামে ৭ নং, কক্সবাজারে ৬ নং, মংলা ও পায়রা বন্দরে ৫ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরী সভায় জানানো হয় ঘুর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নোয়াখালীতেও দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির জরুরী প্রস্তুতি সভায় জানানো হয় ঘুর্ণিঝড় পূর্ববতী এবং পরবর্তী সময়ের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাতিল করা হয়েছে সব সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সব আশ্রয় কেন্দ্র আর উপকূলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এছাড়া ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্ট কর্মী, মেডিকেল টিম, উদ্ধারকর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম. নাজমুল হক জানান, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ রোয়ানুর প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল মাছধরা ট্রলার ও সকল নৌযানকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। জেলা তথ্য অফিস শহরে মাইকিং করে এই সতর্কবার্তা প্রচার করছে।
সাগর থেকে এখনো ট্রলারগুলো ফিরে আসছে। তবে যেসব ট্রলার এখনো ফিরেনি তা আজ বিকালের মধ্যে ফিরে আসবে বলে জানিয়েছে জেলা বোট মালিক সমিতি। সব মিলে এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত কক্সবাজার।
বিপদ সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্দরের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষও রোয়ানু মোকাবেলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।