Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

malaysiaআগামী মাসের (জুন) শেষ দিকে আবারো বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া শুরু করবে মালয়েশিয়া। গতকাল মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনার নুর আশিকিন বিনতে মোহ্্ তাইব।

সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের হাইকমিশনার বলেন, শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চুক্তিটি এখনো বহাল রয়েছে। কিছু সমস্যার কারণে প্রক্রিয়াটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জুনের শেষ নাগাদ প্রক্রিয়া আবারো শুরু হবে। বাংলাদেশের শ্রমিক মালয়েশিয়ায় নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও জানান তিনি।

chardike-ad

গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রমবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, দুদেশের নাগরিকদের ভিসা-সংক্রান্ত বিষয়াদি, বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ক্ষেত্র ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। আসিয়ানে বাংলাদেশের ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া বাংলাদেশে ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নের ক্ষেত্রেও মালয়েশিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে বলে প্রতিমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানিতে জিটুজি প্লাস শীর্ষক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তি সই করে মালয়েশিয়া। কিন্তু এমওইউর পর বিশ্ব থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধের ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার। এমওইউ অনুযায়ী, আগামী তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নেয়ার কথা রয়েছে। তবে চুক্তি সইয়ের আগে শুধু জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) জনশক্তি রফতানির ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। জিটুজিতে অভিবাসন ব্যয় তুলনামূলক কম হলেও জনশক্তি রফতানির গতি ছিল শ্লথ। এ বাস্তবতায় জিটুজি প্লাস নামের নতুন এ চুক্তি সই করা হয়। মালয়েশিয়ার মূল ভূখণ্ডে মাসে ৯০০ রিঙ্গিত এবং সাবাহ ও সারওয়াক প্রদেশে মাসে ৮০০ রিঙ্গিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে।