সরকার দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে দেশের দশটি এলাকায় অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠায় একটি প্রকল্প চালু করেছে।
সরকার ভিশন-২০২১ অনুযায়ী উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক জোন পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানিকে আকৃষ্ট করতে এবং দেশের প্রতিটি অঞ্চলে উন্নয়ন ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
এলাকাগুলো হলো ঢাকা (কেরানিগঞ্জ), নারায়নগঞ্জ (বন্দর ও সোনারগাঁও), কক্সবাজার (সাবরং, টেকনাফ), কক্সবাজার (জালিয়ারদ্বীপ, টেকনাফ), হবিগঞ্জ (চুনারুঘাট), মৌলভীবাজার (সদর), চট্টগ্রাম (মিরেরসরাই), চট্টগ্রাম (আনোয়ারা), ফেনী (সোনাগাজী), এবং বাগেরহাট (মংলা)।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা এখন অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। সারা দেশে আমাদের একশতটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠায় ভূমি, গ্যাস লাইন এবং বিদ্যুৎ দিবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন অথরিটি (বিইজেডএ) ২০২১ সালের মধ্যে ৯০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের (একনেক) নির্বাহী কমিটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের পর্যায়-১ এর (দ্বিতীয় সংশোধন) ছাড় করেছে। এরআগে একনেক ৮১.৯৫ টাকা ব্যয়ের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন উন্নয়ন প্রকল্প, পর্যায়-১ অনুমোদন দেয়। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে ২.২৫ কোটি টাকা এবং বাকী ৭৯.৭০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে।
প্রকল্পটি সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ও মিরেরসরাইয়ে চারটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন উন্নয়নের পরিকল্পনা করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিএমও) অধীন বেজা ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের প্রথম অংশ বাস্তবায়ন করবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) প্রকল্পটি রিভাইজ করতে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০১৬ সালের জুনের পরিবর্তে ২০২১ সালের জানুয়ারি পযর্ন্ত সময় বৃদ্ধি করার নির্দেশ প্রদান করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রিভাইজড প্রকল্পটির ব্যয় দাড়াবে ৯০৫ কোটি টাকা। সরকার অর্থনৈতিক জোনে ভূমি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। বিনিয়োগকারি কোম্পানি তাদের নিজস্ব খরচে শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মাণ করবে।