দক্ষিণ কোরিয়ান সাঁতার কোচ পার্ক তে-গুন বাংলাদেশেই থাকছেন। এসএ গেমস সাঁতার সাফল্যের নেপথ্য কারিগরের সঙ্গে সোমবার চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন। মাসিক সাড়ে ৪ হাজার ডলার পারিশ্রমিকে প্রাথমিক চুক্তিটা এক বছরের। পারিশ্রমিকের পুরোটাই বহন করবে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)। আবাসন এবং আনুসঙ্গিক বিষয়গুলো নিশ্চিত করবে সাঁতার ফেডারেশন।
‘বাংলাদেশ আমার ভাল লাগার জায়গা। নতুন চুক্তি করতে পেরে আমি আনন্দিত। আজ সন্ধ্যায় দেশে ফিরে যাচ্ছি, আসবো ১৬ মার্চ। এরপরই বাংলাদেশের সাঁতার নিয়ে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগ দেব’— এদিন বণিক বার্তাকে বলছিলেন পার্ক তে-গুন।
এ কোচ যোগ করেন, ‘ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজিত হওয়ার কথা। এ আসরে অন্তত ১৫ স্বর্ণপদক জয় করতে চাই আমরা। শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ এশিয়ান সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপ। ভাল নৈপুণ্য প্রদর্শন করে সেখান থেকেও স্বর্ণপদক জয়ের লক্ষ্য আমাদের।’
পার্কের সঙ্গে চুক্তি সম্পর্কে সাঁতার ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক রাফিজউদ্দিন বলেন, ‘বিওএ হাত বাড়িয়ে না দিলে এ কোচকে রাখা সম্ভব ছিলনা। সিদ্ধান্তটা বাংলাদেশ সাঁতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি বিওএ কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ; বিশেষ করে মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার কাছে।’
পার্কের প্রথম ঢাকা আসা ২০১০ এসএ গেমসের আগে। দীর্ঘ অনুশীলনের পর এ কোচের অধীনে বাংলাদেশের সাঁতারুরা দ্রুত উন্নতি করলেও ঢাকা গেমসে কোনো স্বর্ণপদক পায়নি। গোয়াহাটি ও শিলংয়ের যৌথ আয়োজনে সদ্য শেষ হওয়া এসএ গেমসের জন্য তাকে ফের উড়িয়ে আনা হয়।
এ যাত্রায় হতাশ হতে হয়নি। ৫০ ও ১০০ মিটার ব্রেষ্টস্ট্রোকে মাহফুজা খাতুন শীলার স্বর্ণপদক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এ কোচের। গেমসের পর সাঁতারুরা সমস্বরে কোচকে রেখে দেয়ার দাবী জানান। এদিকে গেমসের পরই ভারত ও শ্রীলংকাও এ পার্কের দিকে হাত বাড়ায়। শেষপর্যন্ত ২ হাজার ডলার বেতন বাড়িয়ে বাংলাদেশেই রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলো সাঁতারুদের অকৃত্রিম এ বন্ধুকে। বণিকবার্তা।