kim
ফাইল ছবি

দূরপাল্লার রকেট উেক্ষপণের সূত্র ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চরম সমালোচনার মুখে উত্তর কোরিয়া। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে জরুরি বৈঠকের পর নিরাপত্তা পরিষদ উেক্ষপণের প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যা-ই ঘটুক না কেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি নিজ দেশে কিম জং ওনেরই জয়। খবর বিবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ‘সফলতা’কে নিজের ‘দ্বৈত’ নীতি এগিয়ে নিতে নতুন উদ্যম হিসেবে ব্যবহার করবে কিম জং ওন। ২০১১ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় এসে তিনি এ নীতি গ্রহণ করেন। এ নীতিমালায় এ সময়ের মধ্যে দেশের অর্থনীতি ও পরমাণু কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মে মাসে কংগ্রেসে এ নীতিমালা বাস্তবায়নে জোর দেবেন কিম।

chardike-ad

কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের কোরিয়া-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ স্কট স্নিডার বলেন, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে, তার ফলে দেশটির ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়লেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরো প্রভাবশালী অবস্থানের দিকে যাচ্ছে তারা। যেকোনোভাবে কিম দেশের সেই উজ্জ্বল দিনগুলোয় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, যখন তারা অর্থনৈতিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারতেন।

রোববার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, ‘উেক্ষপণ নিষেধাজ্ঞার গুরুতর লঙ্ঘন।’

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন, ‘পিয়ংইয়ংয়ের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় নিরাপত্তা পরিষদ যেন কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তা নিশ্চিত করবে ওয়াশিংটন। বণিকবার্তা।