জিকা ভাইরাসকে একটি সংক্রামক রোগ বলে অবিহিত করে এই রোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়টি ‘কোরিয়ান সোসাইটি অব ইনফেকশনাস ডিজিসেস’ এর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। কোরিয়ায় রোগটিকে প্রতিরোধ, কোন রোগী আক্রান্ত হলে সেবা প্রদানসহ রোগটি নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করবে এই টাস্কফোর্স। এখনো পর্যন্ত কোন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী কোরিয়াতে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে আফ্রিকার উগান্ডায় বানরের শরীরে জিকা ভাইরাস প্রথম সনাক্ত করা হয়। এডিস মশার কামড় থেকে জিকা ভাইরাস ছড়ায়। গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার সন্তানের মধ্যে জিকা ভাইরাস সংক্রমিত হয়। জিকা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। এখন পর্যন্ত ২০টি দেশে জিকার প্রকোপ দেখা গেছে। জিকা আক্রান্ত প্রতি ৫ জনের একজনের দেহে জ্বর, ত্বকের প্রদাহ, মাংসপেশী ও জোড়ায় ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং চোখ লাল হতে দেখা যায়।