Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

BITACORA ZIKAগোটা বিশ্বের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জিকা ভাইরাস। জিকা ভাইরাস এডিস মশাবাহিত ভাইরাস। বিশেষ করে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হয়ে দেখা দিয়েছে।।

জিকা ভাইরাসের ফলে অপরিণত ও অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। শুধু ব্রাজিলেই জন্ম নিয়েছে প্রায় ৪ হাজার শিশু। বড়রাও রয়েছে ঝুঁকিতে।

chardike-ad

এ অবস্থায় আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যেহেতু কোনো প্রতিষেধক নেই তাই জিকা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। জিকা ভাইরাস আক্রান্তদের লক্ষণ ও জিকামুক্ত থাকতে করণীয় তুলে ধরেছে মার্কিন সংস্থাটি।

জিকা ভাইরাস: ১৯৪৭ সালে আফ্রিকার উগান্ডায় বানরের শরীরে জিকা ভাইরাস প্রথম সনাক্ত করা হয়। এডিস মশার কামড় থেকে জিকা ভাইরাস ছড়ায়। গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার সন্তানের মধ্যে জিকা ভাইরাস সংক্রমিত হয়। জিকা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। এখন পর্যন্ত ২০টি দেশে জিকার প্রকোপ দেখা গেছে। জিকা আক্রান্ত প্রতি ৫ জনের একজনের দেহে জ্বর, ত্বকের প্রদাহ, মাংসপেশী ও জোড়ায় ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং চোখ লাল হতে দেখা যায়।

জিকামুক্ত থাকতে করণীয়: জিকামুক্ত থাকতে যতোটা সম্ভব মশার কামড় এড়াতে হবে। মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। বিশেষ করে মশা প্রতিরোধী কীটনাশকযুক্ত মশারি ব্যবহার করা গেলে ভালো। আক্রান্ত এলাকায় গর্ভাবস্থায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি একান্তই যেতে হয় তবে আবাসস্থলের দরজা-জানালায় ফাঁক-ফোকর রাখা যাবে না। অনেকটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের মতো পুরো সিল করে দিতে হবে।
বেশিদিন পানি জমে থাকে এমন কোনো পাত্র, ফুলের টব, ডাবের খোসা এসব আশেপাশে রাখা যাবে না। হাত ও পায়ের অংশ ভালোভাবে ঢাকে এমন মোটা কাপড় পড়তে হবে। অফ, কাটার, আল্ট্রাথন, স্কিন সো সফট, রিপেল-এর মতো কয়েকটি মশা নিরোধক ক্রিম-লোশন, স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিইইটি, পিকারিডিন কিংবা কেবিআর, লেমন ইউক্যালিপ্টাসের তেল সমৃদ্ধ মশক নিরোধক পণ্য ব্যবহার করতে পারেন। শরীরে মশা নিরোধক ব্যবহারের আগে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগিয়ে নিন।দুই মাসের কম বয়সী শিশুদের শরীরে মশা নিরোধক ক্রিম-লোশন দেবেন না। তাদেরকে পর্যাপ্ত কাপড় দিয়ে মুড়ে রাখুন এবং তাদের দোলনা মশারি দিয়ে ঢেকে রাখুন।