আকাশে ওড়ার সময় বিমানে দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীদের জীবন বাঁচানো অনেক সময় সম্পূর্ণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবে এবার ইউক্রেনের অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ট্যাটারেনকো ভ্লাদিমির নিকোলায়েভিচ নতুন ধরনের বিমানের ডিজাইন করেছেন, যে বিমানে যাত্রীরা থাকবে একটি সুরক্ষিত ককপিটের ভেতর। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং।
নিকোলায়েভিচ এ বিমানের ডিজাইন অনুসরণ করলে দুর্ঘটনায় যাত্রীদের জীবন বাঁচানো সহজ হবে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তাও অনেক বাড়বে। তবে বিমানটির নির্মাণব্যয় আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে। অবশ্য বাড়তি এ ব্যয় করা হলেও তাতে যদি যাত্রীদের বিমানযাত্রা নিরাপদ করা সম্ভব হয় তাহলে সেজন্য যাত্রীরা বাড়তি ব্যয় করতে প্রস্তুত। সম্প্রতি এ ধরনের এক জরিপে ৯৫ শতাংশ যাত্রী জানিয়েছেন, তারা নিরাপদ বিমানযাত্রার জন্য প্রয়োজনে বাড়তি ব্যয় করতে রাজি।
নতুন এ ব্যবস্থায় যাত্রীদের রাখা হবে ক্যাপসুলের ভেতর। আর বিমানের ইঞ্জিনে আগুন লাগলে বা অনুরূপ কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীদের প্যারাসুটের সাহায্যে নিরাপদে নামিয়ে দেবে ক্যাপসুল। এ ক্যাপসুল চালুর জন্য একটি পুশ বাটন থাকবে বিমানে।
এ ডিজাইনের বিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য ইঞ্জিনিয়াররা অ্যান্টোনভ প্রকল্পের আওতায় এএন-২২৫ ম্রিয়া কার্গো বিমান বেছে নিয়েছেন। এতে তৈরি করা হবে বিশাল একটি ক্যাপসুল। যেখানে ক্যাপসুলের ভেতর থাকবেন যাত্রীরা। কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি হলে বিমানটি থেকে ক্যাপসুলটি বেরিয়ে আসবে এবং নিরাপদে মাটিতে নামবে। এছাড়া বিমানটির নিচে যদি পানি থাকে তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ ক্যাপসুলটি পানিতে ভাসবে। এছাড়া এতে সংযুক্ত থাকবে নানা জীবন রক্ষকারী উপকরণও। ক্যাপসুলটি বিমান থেকে বের হতে তিন সেকেন্ডেরও কম সময় নেবে।
বর্তমানে যেসব বিমান প্রচলিত রয়েছে, সেগুলোতে এ ব্যবস্থা স্থাপন করা অত্যন্ত দুরুহ। এ কারণে নতুন মডেলের বিমানেই এ ক্যাপসুল সংযুক্ত করা সম্ভব। তবে বড় বিমান নয়, মধ্যম কিংবা ছোট বিমানেই এ ব্যবস্থা সুবিধাজনক হবে বলে মনে করেন ডিজাইনাররা।
ভিডিওটিতে দেখুন এ পদ্ধতি