গত চার বছরের মধ্যে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানীগুলোর শেয়ার বিক্রি করেছেন। দেশটির আর্থিক বাজার পর্যবেক্ষক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল সুপারভাইজরি সার্ভিসের (এফএসএস) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ সময় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন। খবর সিনহুয়া।
এফএসএসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের বিক্রির ফলে স্থানীয় শেয়ারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অংশ কমে ৪২১ ট্রিলিয়ন ওনে দাঁড়িয়েছে, যা মোট বাজার মূলধনের ২৯ শতাংশ। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরাই সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছেন। এর পরই রয়েছে সৌদি আরব ও নরওয়ে।
প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল বিওকে: কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানোর পাশাপাশি রেকর্ড সর্বনিম্ন সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে। এ নিয়ে টানা সাত মাস সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল ব্যাংক অব কোরিয়া (বিওকে)।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দরপতনের পাশাপাশি চীনের অর্থনৈতিক শ্লথগতির কারণে নিজেদের অর্থনীতি নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নয় দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এ কারণেই দেশটির প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতির অর্ধেকই নির্ভর করে রফতানি খাতের ওপর। ডিসেম্বর নিয়ে ১২ মাস ধরে তা নিম্নমুখী পর্যায়ে রয়েছে। এর অন্যতম কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের কম দাম ও চীনা অর্থনীতির শ্লথগতি। তেলের দাম কমে যাওয়ায় ভোগ্যপণ্যটির রফতানি কমে গেছে; অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীনে অভ্যন্তরীণ শ্লথ চাহিদার প্রভাবে সিউলের রফতানিও হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে পরিবর্তন দক্ষিণ কোরিয়াসহ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিওকের গভর্নর লি জো-ইওয়েল জানিয়েছেন সুদের হার ১ দশমিক ৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের মার্চ ও জুনে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে কমিয়ে রেকর্ড সর্বনিম্নে রাখা হয়। অবশ্য অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের অবস্থা নেতিবাচক হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে, তা প্রত্যাশিত ছিল। কোরিয়া ফিন্যান্সিয়াল ইনভেস্টমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কেএফআইএ) এক জরিপে অংশগ্রহীতাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশই জানিয়েছেন সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বিওকে।
অন্যদিকে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বৃদ্ধি, তেলের নিম্নমুখী দরের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে আবার ঝুঁকি ফিরে এসেছে। সূত্রঃ বণিকবার্তা।