বিয়ের পর লখনউয়ের এক দম্পতি গোয়ায় গিয়েছিলেন হানিমুন করতে। ভালোই কাটছিল সময়। হঠাত্ই তাল কেটে দিল ঝগড়া। তাও আবার প্লেনের মাঝেই। প্রায় হাতাহাতি হওয়ার জোগাড়। শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে স্ত্রীকে একলা ফেলে মাঝপথে নেমে চলে যান স্বামী।
ভাবছেন মাঝপথে প্লেন থেকে নামবেন কী করে? আসলে ইন্ডিগো-র উড়ানটি ছিল হপিং ফ্লাইট। গোয়া থেকে কলকাতা-পাটনা হয়ে তার পর লখনউ যেত বিমানটি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পাটনা হল্টের সময় হঠাত্ই প্লেন থেকে নেমে পড়েন ভদ্রলোক। আধঘণ্টা অপেক্ষার পর ফের উড়ানের আগে যখন যাত্রী তালিকা মেলানো হচ্ছিল, তখন টনক নড়ে সকলের। দেখা যায় একজন বিমানে নেই। ততক্ষণে স্ত্রীও কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিমানবন্দরে কোথাও খুঁজে সেই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি।
এখানেই নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। বোর্ডিং পাস পরীক্ষা না করে কীভাবে তাঁকে নামতে দেওয়া হল পাটনায় এ নিয়ে পুরো দোষটাই নাকি বিমান সংস্থাটির। অন্তত এমনটাই মত একজন প্রবীণ সিআইএসএফ অফিসারের। তিনি জানান, বোর্ডিং পাসে লেখা বিমানবন্দর ছাড়া কোনও যাত্রী অন্য কোনও বিমানবন্দরে নামতে পারেন না। ওই ব্যক্তি যে ভাবেই নামুন তা পেরেছেন একমাত্র বিমানসংস্থার কর্মীর অবহেলার জন্য।
যদিও এ নিয়ে ইন্ডিগো এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি। এ দিকে স্ত্রীর তখন অবস্থা খারাপ। স্বামীকে ফোন করার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। ফোন বন্ধ করা ছিল। অগত্যা একজন কম যাত্রী নিয়ে লখনউ উড়ে যায় বিমানটি।
সূত্র: এই সময়