সৌদি আরবে উটকে চুমু দেয়ায় এক গৃহবধূকে তালাকের আদেশ দিয়েছে তার শাশুড়ি। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের পশ্চিমের একটি এলাকায়। একদিন শাশুড়ির সামনেই সে ওই বাড়িতে থাকা একটি উটকে চুমু দেয়। ব্যস, এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শাশুড়ি। এতে ধর্মীয় আইন এবং সামাজিক আইনের লঙ্ঘন হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি ছেলেকে দ্রুত তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার আদেশ দেন। ছেলে অবশ্য তার মায়ের এই আদেশ মানতে পারেনি। সংসারে অশান্তি এড়াতে স্ত্রীকে সে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
তবে পুত্রবধূর দাবি, উটকে চুমু দিয়ে তিনি কোনো অপরাধ করেননি এবং এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। শাশুড়িকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিনি কোনো সন্তান জন্ম না দেয়ায় অসন্তুষ্ট শাশুড়ি ঘটনাটিকে অজুহাত হিসেবে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন।
ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে গৃহবধূ স্বামীকে জানিয়েছেন, তিনি ভুল কিছু করেননি। উটটির জন্মদিনে আনন্দিত হয়ে একটি চুমু দিয়েছিলেন মাত্র।
আরব আমিরাত ভিত্তিক গালফ নিউজ জানিয়েছে, লোকটি স্ত্রীকে তালাক দিতে মায়ের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে তাকে বাবার বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিলে ঘটনা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। তিনি মনে করছেন, তার স্ত্রী কোনো ভুল করেননি।
এদিকে বধূটি ফিরে আসতে রাজি হলেও শাশুড়ির সাথে আর থাকবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীকে ভালোবাসি এবং তার সাথে সারা জীবন থাকতে চাই। তবে আমি তার মায়ের সাথে আর থাকতে চাই না।’