ঘটনাটা দুই দিন আগের, কিন্তু ভয়াবহ৷ ‘পুশব্যাক’-এর সময় পাইলট ও গ্রাউন্ড স্টাফের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে এয়ার ইন্ডিয়ার এক ইঞ্জিনিয়ারের শরীরটা ঢুকে যায় চলন্ত ইঞ্জিনের মধ্যে৷ আর সাথে সাথেই মৃত্যু!
বিশ্বাস হচ্ছে না? কিন্তু ঘটনা সত্য৷
বুধবার রাত৷ মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অতি পরিচিত এয়ারবাস এ-৩১৯-এর চলন্ত ইঞ্জিনে ঢুকে গেল রবি সুব্রহ্মণমের শরীরটা৷
জানা যায়, সে সময় রবির সামনে এয়ার ইন্ডিয়ার আরো একজন কর্মী ছিলেন৷ কিন্তু বিমানের অস্বাভাবিক গতিবিধি বুঝতে পেরেই সে নাকি মাটিতে বসে পড়ায় প্রাণে বেঁচে যান৷
কিন্তু রবির এই মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? প্রত্যক্ষদর্শী সেই ‘হেল্পার’ জানান, ‘‘পুশব্যাক-এর সময় ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং’ পদ্ধতি ব্যবহার না করার কারণেই মাশুল গুনতে হলো রবি সুব্রহ্মণমকে৷”
তার কথায়, ‘‘পুশব্যাক-এর সময় কোনো চক ব্যবহার করা হয়নি৷ আসলে বিমানের চাকার তলায় একটি বিশেষ জিনিস লাগানো থাকে, তাকেই বলে ‘চক’৷ এটা ব্যবহার করলে বিমানের চাকা নিজে থেকে চলতে পারে না৷ কিন্তু রবির কোনো নির্দেশই গ্রাহ্য করেননি পাইলট৷ আর তার ফলেই বিমানের দু’টো ইঞ্জিন আচমকা চালু হয়ে যায়৷ সে সময় কেউ খেয়ালই করেনি যে, রবি তখনও কানে হেডসেট নিয়ে ইঞ্জিনের দিকে পিছন করে দাঁড়িয়েছিলেন৷”
দেখুন এ ধরণের আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা-