Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bangladeshi-migrantsআজ ১৮ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অভিবাসী কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ২০০০ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর পর থেকে প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

এবারের অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিশ্বময় অভিবাসন, সমৃদ্ধ দেশ, উত্সবের জীবন’।

chardike-ad

বর্তমানে প্রায় ৯৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক অভিবাসী হিসেবে ১৬০টি দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৯৮ জন কর্মী বিদেশে গেছে বলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। বছরের বাকি সময়ে এ সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ লাখ হবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে।

এর অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে এক র‌্যালি নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যাওয়া হয়। র‌্যালি শেষে সেখানে দিনব্যাপী অভিবাসী মেলাসহ নানা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।

মেলায় অভিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সেমিনারে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিবাসন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দেশের সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অভিবাসন বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা, শোভযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে, জাতীয় দৈনিকগুলোও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

এদিকে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে দিবসটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।