শীতের দিনে প্রথম প্রয়োজন পড়ে নিজেকে উষ্ণ রাখা। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় ঠাণ্ডা পানিতে গোসলে থাকে ঘোর আপত্তি। কিন্তু কর্মব্যস্ত দিন শেষে গোসলটা সারতেই হয়। তখন একটায় ভরসা গরম পানি। সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকতে দিনে অন্তত একবার গরম পানিতে গোসলটা সেরে নেন। এই গরম পানিতে গোসল নিয়েও কিছু বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বলে থাকেন আপাতত স্বস্তি মিললেও তেমন উপকার নেই। তবে গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা ও অপকারিতা দুইই রয়েছে। তাই জেনে নিতে পারেন গরম পানিতে গোসলের নানা দিক সম্পর্কে-
ব্যথা দূর: শীতে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে পেশির নমনীয়তা বাড়ে। শরীরের যে কোনো ব্যথা বিশেষ করে বাতের ব্যথা, হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা, পিঠ ও হাঁটুর ব্যথা কমে যায়। গরম পানিতে গোসল করলে অনেকের মাথা ব্যথাও ভালো হয়।
রক্ত সঞ্চালন: গরম পানি ত্বকের রক্তনালীর প্রসারণ বাড়ায়। কাজেই উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের রক্ত সরবরাহ বাড়ে। ফলে সুস্থ থাকা সহজ হয়।
শ্বাস-প্রশ্বাস সরল: যাদের বুকে ব্যথা ও শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য গরম পানিতে গোসল বেশ উপকারী। এছাড়া যাদের নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা আছে- তাদের জন্যও ভাল। গরম পানিতে ইউক্যালিপ্টাস বা অন্যান্য তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
অবসাদ দূর: গরম পানি পেশির জড়তা কাটাতে সাহায্য করে। ফলে সহজেই অবসাদ দূর হয়। এছাড়া রক্তচাপ কমিয়ে পার্লস রেটকে আরামদায়ক পর্যায়ে নিয়ে আসে। সব মিলিয়ে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গরম পানিতে গোসল ভালো।
ত্বকের আর্দ্রতা: গরম পানি ত্বকের রোমকূপ আলগা করে দিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক নরম ও দ্রুত পরিষ্কার হয়। একইসঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে গরম পানি।
এতোসব উপকারী দিক রয়েছে সহনীয় তাপমাত্রায় গরম পানিতে। তবে অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের ক্ষতি হয়। জেনে নেয়া যাক ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে-
## গরম পানিতে গোসল কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যাদের হাইপারটেনশনসহ হৃদরোগ রয়েছে, তাদের জন্য গরম পানিতে গোসল ভালো নয়।
## গরম পানিতে গোসল ত্বকের ছিদ্র খুলে দিলেও সহজে ময়লা জমে। এর কারণে ব্রণসহ নানান সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া এই পানি চুলের জন্য ক্ষতিকর। এতে চুল দুর্বল হয়ে সহজে ভেঙ্গে যায়।
## অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করলে যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের ঘুম আরও কমে যেতে পারে।