শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে বরিশাল বুলসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে বিপিএল তৃতীয় আসরের শিরোপা জিতে নিলো মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে বরিশাল বুলস। ১৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে কুমিল্লা।
কুমিল্লার শেষ দুই ওভারে রান প্রয়োজন ছিলো ২৩। পর পর দুই বলে স্টিভেন্স আর মাশরাফির উইকেট হারানোর ফলে কুমিল্লার হারই ধরে নিয়েছিল সবাই। পরের বল ডট। এরপর এলো দুই রান। শেষ দুই বলে পরপ দুটি বাউন্ডারি মেরেই ম্যাচে চরম নাটকীয়তা জমিয়ে দিলেন অলক কাপালি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৩ রান। প্রথম বলেই রান আউট শুভাগত হোম। ক্লাইমেক্স জমলো আরও বেশি। কিন্তু কুলাসেকারা এসে ১ রান নিয়েই দিলেন অলক কাপালিকে। পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে কুমিল্লাকে জয়ের ধারপ্রান্তে নিয়ে আসেন অলক কাপালি। পঞ্চম বলে ২ এবং শেষ বলে ১ রান নিয়ে কুমিল্লাকে স্বপ্নের শিরোপা জয় নিশ্চিত করে দিলেন কাপালি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল। কিন্তু সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শাহরিয়ার নাফীস মিলে দলীয় স্কোরকে ১৪৯ পর্যন্ত টেনে নেন। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে নুয়ান কুলাসেকারার বলে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত নাফীস ৪৪ ও কেভিন কুপার ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া মেহেদী মারুফ ১১, সেকুজি প্রসন্ন ৩৩ ও সাব্বির রহমান ৯ রান করেন।
বল হাতে কুমিল্লার মাশরাফি, জায়িদি, কুলাসেকারা ও স্টিভেন্স ১টি করে উইকেট নেন।
বিপিএলের দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাশরাফি বিন মর্তুজা ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসকে এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চিটাগং ভাইকিংসকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সে ম্যাচে মাশরাফির হাতে উঠে বিপিএলের শিরোপা।