অবশেষে ২০ ডিসেম্বর থেকে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিটি (এফটিএ) বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। তিন বছর আলোচনা চলার পর চলতি বছরের জুনে দুই পক্ষের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরিত হয়। খবর সিনহুয়া।
চলতি বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে এক ত্রিপক্ষীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পাক কুন হে দ্রুত দ্বিপক্ষীয় এফটিএ বাস্তবায়ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এর পর এ বছরের মধ্যেই এফটিয়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩০ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদ, চীন-দক্ষিণ কোরিয়া এফটিএ অনুমোদন বিল পাস করে। চীন দেশটির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কাজে লাগিয়ে দেশ দুটির বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ লাভবান হবে আর এ কারণে দুটি দেশ যতটা সম্ভব দ্রুত এফটিএ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
২০১২ সালে আলোচনা শুরুর পর চুক্তি স্বাক্ষরের আগ পর্যন্ত দেশ দুটির মধ্যে এফটিএ বিষয়ে ১৪টি বৈঠক হয়েছে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে আগামী ২০ বছর চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া পারস্পরিক লেনদেনকৃত পণ্যের ওপর ৯০ শতাংশ শুল্ক মওকুফ করবে।
চীনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির সুবাদে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রকৃত জিডিপি দশমিক ৯৬ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়বে বলে আশা করছে দেশটি। এছাড়া প্রায় ৫৩ হাজার ৮০০ নতুন কর্মসংস্থান এবং ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ভোক্তা সুবিধাপ্রাপ্তি প্রত্যাশা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। চীনের বাজারে নিম্ন শুল্ক ও প্রতিযোগিতামূলক দর কম থাকায় দেশটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি আরো জোরালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে চীন আশা করছে এ চুক্তির ফলে দেশটির অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরে আসবে।