আইসিটি খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। ২০০৮ সালে ২জি নেটওয়ার্ক নিয়ে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করেছিলাম যখন ছিল শুধু একটি সাবমেরিন ক্যাবল। বর্তমানে আমরা ৩জিতে আছি। আগামী বছর দেশে আসবে ৪জি কানেকশন।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আউটসোর্সিং খাতে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে ‘প্রথম বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিট ২০১৫’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিপিও খাতে আমরা বিনিয়োগ শুরু করেছি সম্প্রতি। ৩০০ কর্মী থেকে এখন আমাদের কর্মী ২৫০০। ভবিষ্যতে ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বিপিওতে। আয় হবে ১ বিলিয়ন ডলার।’
জয় বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ হয়েছে। তরুণদের উৎসাহিত করতে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে।’
তরুণদের পিতামাতার প্রতি পরামর্শ দিয়ে জয় আরও বলেন, ‘ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী হওয়া জীবনের লক্ষ্য ঠিক করার সাথে সাথে এখন সময় এসেছে তথ্য প্রযুক্তিতেও নজর দেয়ার। সন্তানদের তথ্য প্রযুক্তির প্রতি আকৃষ্ট করুন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমরা কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি। স্কুলগুলোতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার সাথে সাথে বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ ও করে দিচ্ছি।’
দুইদিনের এই সম্মেলনে সবমিলিয়ে ১৩টি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনের সহযোগী হিসেবে আছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি)। এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে কলসেন্টার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বাক্য)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের সভাপতি স্যানটিয়াগো গুটিয়ারেজ এবং বাক্য সভাপতি আহমেদুল হকসহ দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদরা।