Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bangladesh-bimanমিশরের শার্ম আল শেখ থেকে উড়ে যাওয়া একটি রুশ বিমান সিনাইয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ব্রিটেনের পরিবহন দপ্তর বাংলাদেশসহ বিশ্বের সবকটি দেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করতে তাগাদা দিয়েছে।

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের নয়, এই অভিযোগ বেশ পুরনো। বিমান চলাচল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দরটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেই রয়ে গেছে অনেক গলদ।

chardike-ad

ফলে এই বিমানবন্দরটি থেকে উড়ে যাওয়া কোনও বিমানে যদি বোমা পেতে রাখা হয় এবং অন্য কোনও দেশে গিয়ে সেই বিমান বিস্ফোরিত হয় তাহলে উৎস দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উপরই এর দায় বর্তাবে।

বাংলাদেশের সরকার যদিও বলছে বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তার সব ব্যবস্থাই রয়েছে এবং সম্প্রতি তা আরো জোরদার করা হয়েছে, কিন্তু উড়োজাহাজের একজন সাবেক পাইলটের বক্তব্য, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব যাদের হাতে রয়েছে তারাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রশ্নে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল না।

“তাদেরকে এটার উপর শিক্ষা দেয়া বা গ্রুমিং করাটা অত্যাবশ্যক”, বলছিলেন বাংলাদেশে উড়োজাহাজের সাবেক পাইলট ক্যাপ্টেন নাসিমুল হক।

বিশ্বের যেকোনো আধুনিক বিমানবন্দরে কর্মীদের ভেতরে প্রবেশ বা বের হবার জন্য কম্পিউটারাইজড ইলেকট্রনিক কার্ড পাঞ্চ করতে হয়। এর ফলে তার প্রত্যেকটি ফটক অতিক্রম করার তথ্য কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ থেকে যায়। সে কোনও স্পর্শকাতর এলাকায় অকারণে প্রবেশ করছে কিনা বা সন্দেহজনক চলাফেরা করছে কিনা সেটাও এর ফলে জানা যায়। কিন্তু ঢাকার বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা নেই।

ক্যাপ্টেন হক বলছেন, যারা এয়ারপোর্টের ভেতরে কাজ করে, তাদের মাধ্যমেই অস্ত্র বা বোমা এয়ারপোর্টের নিরাপত্তা চৌকি অতিক্রম করার ঝুঁকি বেশী থাকে।

“এরা যখন খুশি তখন ঢুকছে, যখন খুশী তখন বের হচ্ছে। যদি পুরো এলাকাটা সিল করে দেয়া হয় এবং যে ঢুকবে সে একটা কার্ড পাঞ্চ করে ঢুকবে, যেখানে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে উঠে যাবে যে এই লোকটা এতটার সময় ঢুকেছে। তা থেকে বোঝা যাবে, ওর যদি ডিউটি না থাকে এবং ও যদি ভেতরে ঢোকে, তাহলে তাকে ধরতে হবে”।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা বিধান করার জন্য অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মুখে পড়তে হয় বলেও উল্লেখ করেন নাসিমুল হক।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিধান করা যাদের দায়িত্ব সেই সিভিল এভিয়েশনকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে মন্ত্রনালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এটা অনেক সময় সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য সিভিল এভিয়েশেনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকা জরুরী।