সারা বিশ্বে যখন ধর্মীয় বিভেদ চরমে, শিয়া সুন্নি বা মুসলিম খ্রিস্টান দ্বন্দ্বে লেগে আছে সার্বক্ষণিক যুদ্ধ সেখানে এ ধরনের শিরোনাম অভাবনীয়ই। কিন্তু পৃথিবীতে একটি দেশই রয়েছে যেখানে ধর্মীয় সংস্কৃতির এমন চমৎকার সমঝোতায় রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।
দেশটির নাম লেবানন। যেখানে সরকারের সর্বোচ্চ পদগুলো আনুপাতিক হারে ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতাদের জন্য নির্ধারিত। প্রতি চার বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে। আইনসভা আবার ৬ বছর মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে। লেবাননের শেষ সংসদীয় নির্বাচন ২০০৯ সালে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
লেবানন ধর্ম ও গোষ্ঠীগতভাবে বিভক্ত একটি রাষ্ট্র। এখানে খ্রিস্টান, সুুন্নি মুসলমান ও শিয়া মুসলমানেরা একত্রে বাস করেন। গোষ্ঠীগুলি লেবাননের ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যাপারে চুক্তি করে নিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী লেবাননের রাষ্ট্রপতি হবেন একজন ম্যারোনীয় খ্রিস্টান, প্রধানমন্ত্রী হবেন সুন্নি মুসলমান এবং স্পিকার হবেন শিয়া মুসলমান। সংসদের আসনসমূহও অর্ধেক খ্রিস্টান ও অর্ধেক মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত। লেবাননের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল গোষ্ঠী বা গোত্রভিত্তিক। এখানে সব গোষ্ঠী বা দল তাদের কার্যক্রম পরিচালনা ও অধিকার সমানভাবে পেয়ে থাকে।
খবর, উইকিপিডিয়া