Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

russia-turkeyযুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার জবাব দিতে তুরস্কের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি সিরিয়া-তুরস্কের সীমান্তে একটি রুশ যুদ্ধবিমানকে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভূপাতিত করে তুরস্কের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

বিবিসি অনলাইনের এক খবরে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

chardike-ad

শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জারিকৃত এক ফরমানে (ডিক্রি) বলা হয়েছে, তুরস্ক থেকে আমদানি, রাশিয়ায় তুরস্কের কোম্পানিগুলো ও শ্রমিক এবং রাশিয়ার কোম্পানিতে তুর্কিদের কাজ নিষিদ্ধ করা হলো। ফরমানে দুই দেশের মধ্যে তালিকাভুক্ত বিমানের ফ্লাইটগুলোও বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিমান ভূপাতিতের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বললেও রাশিয়ার কাছে ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে পুতিন বলেছেন, তুরস্ক ক্ষমা না চাইলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সেই জবাব দিলেন তিনি।

শুক্রবার এরদোয়ান বলেন, সিরিয়ায় অভিযানের নামে ‘আগুন নিয়ে খেলছে’ রাশিয়া। কিন্তু শনিবার তিনি বিমান ভূপাতিত করার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে রাশিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে তুরস্কের ওপর বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতে করে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে।

তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেক ভালো ছিল। তুরস্কের দ্বিতীয় বাণিজ্য অংশীদার রাশিয়া। প্রতিবছর রাশিয়ার প্রায় ৩০ লাখ লোক তুরস্ক ভ্রমণে যায়। এখন সব দিক দিয়েই তুরস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেই সঙ্গে রাশিয়াও কিছুটা।

পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, তুরস্কের প্রায় ৯০ হাজার নাগরিক রাশিয়ায় কাজ করেন। তাদের পরিবারের সদস্যসহ রাশিয়ায় থাকা তুর্কিদের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ।

রাশিয়া তাদের ট্রাভেল কোম্পানিগুলোকে তুরস্কে ভ্রমণ প্যাকেজ পরিচালনা না করতে নির্দেশ দিয়েছে। ওদিকে তুরস্ক তার নাগরিকদের ‘খুব প্রয়োজন’ না হলে রাশিয়া ভ্রমণ বন্ধ রাখতে বলেছে।