আগেই খবর রটেছিল সপরিবারে ভারত ছাড়ছেন আমির। সেই খবর এবারে সত্যি হল। গত বৃহস্পতিবার রাতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নয়া দিল্লি বিমান বন্দরে আসেন তিনি। গোপনীয়তা বজায় রেখে রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা করেন মিস্টার পার্ফেক্টসনিস্ট।
আমির খানে এই বিদেশ যাত্রার কারণ সম্পর্কেও ধারণাও পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, চোট সারাতে চিকিৎসার করানোর উদ্দেশ্যে তিনি বিদেশ গেছেন। বেশ কিছুদিন আগে তার নতুন সিনেমা দঙ্গল-এর শুটিং করার সময় কাঁধে চোট পান। উন্নত চিকিৎসার জন্য তার এ যুক্তরাষ্ট্র সফর।
এর আগে হঠাৎ করেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে লুধিয়ানা থেকে মুম্বাইয়ে ফিরে আসেন আমির খান। এয়ারপোর্ট থেকে ভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে বাসায় যান তিনি।
পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় দাঙ্গাল সিনেমার শুটিং করছিলেন আমির খান। কিন্তু পাঞ্জাবের একজন শিবসেনা নেতা ঘোষণা দেন, ‘আমিরকে যদি কেউ চড় মারতে পারে তাহলে এক লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে। এরপর লুধিয়ানায় আমির যেখানে অবস্থান করছিলেন সেই হোটেলের সামনে আন্দোলনরত অনেক মানুষকে দেখা যায়। তারা আমিরের পোস্টার পুড়িয়ে তার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি বুঝে সেখান থেকে মুম্বাইয়ে ফিরে আসেন আমির খান।
সম্প্রতি রামনাথ গোয়েঙ্কা এক্সেলেন্স ইন জার্নালিজম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন আমির। সেখানে তিনি বলেন, ‘গত ৭-৮ মাস ধরে ভারতজুড়ে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা চলছে। সমাজের মানুষের মধ্যে ‘নিরাপত্তাহীনতা’ এবং ‘ভয়’ কাজ করছে।’
এ ছাড়া ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে আমির ভারত ছাড়ারও চিন্তা করেছিলেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘কিরণ এবং আমি প্রথম থেকেই ভারতে বসবাস করছি। কিন্তু এই প্রথম সে আমাকে দেশ ছাড়ার কথা বলেছে। বাড়িতে এই বিষয়টি নিয়ে আমি যখন কিরণের সঙ্গে কথা বলি; সে আমাকে বলছিল, তাহলে কী আমাদের এখন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত?’
এরপর থেকেই আমির তোপের মুখে পড়েন রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন সংগঠনের। এমনকি বলিউডের অনেক অভিনয় শিল্পীও দ্বিমত পোষণ করেছেন আমিরের সঙ্গে।