ঘটনাটি মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে, বিপিএলের নয় নম্বর ম্যাচ। যে ম্যাচে মুখোমুখি হয় সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স ও মুশফিকুর রহিমের সিলেট সুপারস্টার্স। দুটি দলের জন্যেই ম্যাচটি সমান গুরুত্বের ছিল। রংপুরের জন্যে ম্যাচটি ছিল জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে মাত্র এক রানের জন্যে হারের তিক্ত স্বাদ পাওয়া সিলেটের জন্যে ম্যাচটি মহারণ।
যদিও দিন শেষে শেষ হাসিটা সাকিবই হেসেছে। তবুও আম্পায়ার তানভির হায়দারের সঙ্গে যেই আচরণ সাকিব করেছেন তা মেনে নিতে কষ্ট হয় ক্রিকেট প্রেমিদের। অন্তত ‘বিশ্বসেরা’ খেতাব পাওয়া সাকিবের কাছ থেকেই মোটেই না!
রংপুর রাইডার্সের করা থিসারা পেরেরার করা ১৩তম ওভারের শেষ বল সিলেট সুপারস্টার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মোকাবেলা করেন। বাইশ গজের ক্রিজে বল পড়েই মুশফিকের ব্যাট ও গ্লাভসের কাছ ঘেঁষে বল চলে যায় উইকেট রক্ষক মোহাম্মদ মিথুনের হাতে। বল মিথুন তালুবন্দি করার সঙ্গে সঙ্গেই রংপুর রাইডার্সের উল্লাস শুরু হয়ে যায়। বোলার পেরেরা আম্পায়ার তানভির হায়দারের কাছে গলা ফাটিয়ে আউটের আবেদন করতে থাকেন। কিন্তু ৪৩ বছর বয়সি তানভির হায়দার সাফ জানিয়ে দেন ‘নট আউট’।
লং অনে ফিল্ডিং করা সাকিব দৌড়ে গিয়ে রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তর্ক করতে দেখা যায় সাকিবকে। তখনও রাগ থামেনি তার। আম্পায়ার নিজের জায়গায় চলে যাওয়া শুরু করলে পিছন থেকে কথা বলতে থাকেন সাকিব। এ সময়ে তানভির আহমেদও ‘অবাক’ হয়ে সাকিবের দিকে তাকিয়ে তাকে শান্ত করার চেস্টা করেন। ব্যর্থ হওয়ায় দৌড়ে এগিয়ে আসতে হয় আম্পায়াররা শরাফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ কভার করা এ আম্পায়ার সাকিবকে ‘শান্ত’ করে বিষয়টি সমাঝোতা করেন।
তখনও হয়তো রাগ থামেনি সাকিবের। সে জন্যই ১৭তম ওভারে বোলিং করতে এসে প্রথম বলে নাজমুল হোসেন মিলনকে সরাসরি বোল্ড করার পর হাসিমুখে ডানহাত তুলে আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদনের ‘ইঙ্গিত’ করেন।
মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে ‘অশোভন’ আচরণ করলেও দিন শেষে সাকিবই সেরা। ব্যাট হাতে ৩৩ রান ও বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে রংপুরের তৃতীয় জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসানই। চলতি বিপিএলে যা তার দ্বিতীয় ম্যাচসেরার পুরস্কার।