দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে নজিরবিহীন বৈঠকে বসেছেন দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা। আগস্টে ছোটখাট এক সীমান্ত সংঘাতের পর আজ (বৃহস্পতিবার) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দু’দেশের সীমান্তবর্তী বেসামরিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত পানমুনজম গ্রামে এ বৈঠক হচ্ছে।
গত আগস্টে দুই কোরিয়ার সীমান্তে এক বিস্ফোরণে দক্ষিণ কোরিয়ার দুই সৈন্য আহত হওয়ার পর দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। সে সময় অবশ্য দুই কোরিয়ার সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকের মাধ্যমে সে উত্তেজনার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হয়েছিল।
আজকের বৈঠক থেকে বড় ধরনের কোনো ইতিবাচক ফলাফল হয়তো আসবে না; কিন্তু দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতার পরিবেশের কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।
আজকের বৈঠকের জন্য বিশেষ কোনো ইস্যু রাখা হয়নি। তবে ‘উচ্চ পর্যায়ে’ যাতে দুই কোরিয়ার কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যান সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত এ বৈঠক থেকে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ। আলোচনায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান কিম কি-উং বৈঠক শুরুর আগে সাংবাদিকদের বলেছেন, আগস্ট বৈঠকে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাতে গতিশীলতা আনার জন্য আমরা বৈঠকে বসতে যাচ্ছি।
২০১৩ সালের জুন মাসে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া ছয় বছরের মধ্যে প্রথম বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু পিয়ংইয়ং-এ নির্ধারিত বৈঠকের আগের দিন উত্তর কোরিয়া তা বাতিল করে দেয়। পিয়ংইয়ং অভিযোগ করেছিল, বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়া অপেক্ষাকৃত উঁচু পদের কর্মকর্তাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।