Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

frenceপ্যারিসে ভয়াবহ হামলায় নিহতের সংখ্যা দেড়শ ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থায় শঙ্কাজনক। এই হামলার রেশ পড়েছে ফ্রান্স-জার্মানির ফুটবল ম্যাচেও। ম্যাচে উপস্থিত ৭০ হাজার দর্শক খেলা শেষ হওয়ার পর নেমে গেছেন মাঠে। বাইরে বের হননি তারা।

স্ট্যাড ডে জার্মানির সাথে স্বাগতিক ফ্রান্সের খেলা দেখতে উপস্থিত হয়েছিলো ৭০ হাজার দর্শক। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে নিজ দলের দারুণ খেলা দেখে ভালোই উল্লাস করছিলো তারা। ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিটের মাথায় স্টেডিয়ামে শোনা যায় বিকট আওয়াজ। দর্শকরা প্রথমে ভেবেছিলো আতশবাজি।

chardike-ad

এরপর আরো বিকট শব্দে আওয়াজ আসতে থাকে। মুঠোফোনে আসতে থাকে ভয়াবহ দুঃসংবাদ। মাঠে তখনও খেলা চলছে। স্টেডিয়ামের সাউন্ড সিস্টেমে তখনও জানানো হয়নি বাইরের ভয়াবহতার খবর। এভাবেই শেষ হয় খেলা। ২-০ গোলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারায় ফ্রান্স। কিন্তু জয়ের এই ব্যবধানটা খেয়াল করার তখন সময়ই নেই দর্শকদের। জীবনই তখন তাদের প্রশ্নের মুখে।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ৭০ হাজার দর্শক নেমে আসেন মাঠে। বাইরে বের হওয়ার চেয়ে মাঠের সবুজ ঘাসেই আশ্রয় খুঁজে নেন তারা। একের পর এক ফোন কলে জানতে পারেন প্রিয় প্যারিসে রাস্তায় নেমে এসেছে মৃত্যুদূত। বোমা ও গুলির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত প্যারিস। রাস্তায় রাস্তায় রক্তের বন্যা।

ফ্রান্সের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ঘটনা ঘটে। বিনোদনের শহর প্যারিস মুহূর্তেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরিতে। প্যারিস সিটি হলের এক কনসার্টে করা হয় প্রথম আক্রমণ। তারপর একে একে প্যারিসের বিখ্যাত সব রেস্তোরায়ও হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য অসংখ্য পুলিশের সাথে ১৫০০ সেনাকেও দেয়া হয়েছে দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ এই হামলায় নিন্দা জ্ঞাপন করেছে।