six-child-bornচট্টগ্রামে একসাথে ছয় সন্তানের জন্ম দিলেন রাবিয়া আনোয়ার (২৫) নামে এক মা। নগরের জেমিসন রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালে অস্ত্রোপচার ছাড়াই শনিবার সকাল সোয়া দশটা থেকে এক এক করে এ ছয়টি শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। এরমধ্যে একটি ছেলে ও পাঁচটি মেয়ে শিশু।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, জন্মের একঘণ্টার মধ্যেই ছেলে শিশুটিসহ একটি মেয়ে শিশু মারা যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই মারা যায় আরও দুইটি শিশু।  জীবিত অপর দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে মা সুস্থ আছেন।

chardike-ad

জেমিসন রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের চিকিৎসক রোজী বিশ্বাস বলেন, রাবিয়ার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়। শনিবার ভোর সাড়ে সাতটার দিকে এসে তিনি এখানে ভর্তি হন। সকাল সোয়া দশটার দিকে অস্ত্রোপচার ছাড়াই প্রথমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এর কিছুক্ষণ পরে আরও পাঁচ কন্যাশিশুর জন্ম দেন তিনি। এর মধ্যে প্রথম শিশু দুটি মৃত অবস্থাতেই জন্মায়। পরে জন্মানো আরও দুটি শিশুর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: মুক্তা চৌধুরী জানান, প্রসব হওয়া সন্তানগুলোর মধ্যে তিনটির ওজন ছয়শ’ গ্রাম এবং তিনটির ওজন পাচশ’ গ্রাম। গর্ভ ধারনের ২১ সপ্তাহ অর্থাৎ ছয় মাসের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রসূতি সন্তানগুলো জম্ম দিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, গর্ভ ধারনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেলে এই ধরনের মাল্টিপল প্রেগন্যান্সি হতে পারে, এই মহিলারও ঠিক কি হয়েছিলো সে বিষয়টি খুঁজে দেখা হচ্ছে।

হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ রুবি দত্ত বলেন, বছরখানেক আগে এক নারী চার সন্তান প্রসব করেছিলেন। তাদের একটি মৃত ও তিনটি জীবিত ছিল। একসঙ্গে ছয় সন্তান প্রসবের ঘটনা এই হাসপাতালে এটাই প্রথম।

রাবিয়ার শ্বশুর সাহাব মিয়া বলেন, শুক্রবার রাতে রাবিয়া হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার সকালে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার পর ছয়টি শিশু জন্ম দেয় রাবিয়া।

ফটিকছড়ি উপজেলার সাদেকনগর গ্রামের গৃহবধু রাবিয়ার স্বামী মাওলানা ইয়াকুব আবুধাবি প্রবাসী। ৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। জেসমিম নামে ৩ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের।

এদিকে, একসঙ্গে ৬টি সন্তান জন্ম নেয়ার খবরে উৎসুক লোকজন এবং গণমাধ্যম কর্মীরা ছুঁটে যান হাসপাতালে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায় সেখানে।