এসএসসি পাসও করেনি সুজন দেবনাথ। কিন্তু নিজের চেম্বারের নেমপ্লেটে লেখা এমবিবিএস ডাক্তার। তার মতো একইভাবে কোনো প্রকার মেডিকেল ডিগ্রি না থাকার পরও নিজেদের এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ মানুষদের ধোঁকা দিয়ে আসছিল মোস্তফা কামাল ও প্রদীপ কান্তি দাশ।
শনিবার চট্রগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার অলগ্ধকার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই তিন ভুয়া ডাক্তারকে হাতেনাতে ধরে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন। সেই সঙ্গে বিক্রয়-নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রয়ের দায়ে তিন ফার্মেসিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রুহুল আমিন জানান, কোনো প্রকার মেডিকেল ডিগ্রি না থাকার পরও ডাক্তার পদবি ব্যবহারের দায়ে সাগরিকা মুরগির ফার্ম এলাকার সুজন দেবনাথ, মোস্তফা কামাল ও প্রদীপ কান্তি দাশকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ মানুষের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে আসছিল। এতে মানুষের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়েছে। পরে তারা বিষয়টি স্বীকার করে ভুল স্বীকার করে। যে কারণে তাদের কাছ থেকে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন- ২০১০-এর ২৯ ধারা অনুযায়ী ন্যূনতম এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি না থাকলে ডাক্তার পদবি লেখা যায় না। আইন অমান্য করার অপরাধে আইনের বিভিন্ন ধারায় এ তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে।